বিজ্ঞাপন

৩শ কোটি টাকা আত্মসাৎ, এফআইসিএল’র পলাতক চেয়ারম্যান গ্রেফতার

July 16, 2019 | 7:23 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

মানি লন্ডারিং মামলায় ‘ফারইস্ট ইসলামী মাল্টি কো-অপারেটিভ সোসাইটি লি. (এফআইসিএল)’-এর চেয়ারম্যান এবং মালিক শামীম কবিরকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তিনি  ৪ বছর ধরে পলাতক ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সিআইডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি) মোল্যা নজরুল ইসলাম। গ্রেফতার কবির প্রায় ২০ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ৩শ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। তার বিরুদ্ধে ২৮টি মামলা রয়েছে বলে জানান এসপি নজরুল।

সিআইডির এসপি মোল্যা নজরুল বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ইসলাম ও আল্লাহর বাণী প্রচার করে ধর্মভীরু ও স্বল্পশিক্ষিত মানুষদেরকে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকা, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রাহক সংগ্রহ করেছিল। তারা গ্রাহকদেরকে ১ লাখ টাকা জমা রাখলে প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা কখনও কখনও আড়াই হাজার টাকাও দেওয়ার লোভ দেখিয়েছিল। তারা বিভিন্ন বিজ্ঞাপন, লিফলেটসহ নানা মাধ্যমে প্রচার চালিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রথম কয়েক বছর গ্রাহকরা লাভজনক মুনাফা পাওয়ায় সাধারণ মানুষও নিজেদের কষ্টে উপার্জন করা টাকা এফআইসিএল-এ জমা রাখতো। অধিক মুনাফার আশায় কেউ কেউ জমি বিক্রি করে, টাকা ধার করে এনে তাদের কাছে জমা রাখতো। কোনো কোনো সরকারি-বেসরকারি কর্মচারীরা পেনশনের টাকা বাসায় না রেখে ওই টাকা দ্বিগুণ-তিনগুণ করতে তাদের কাছে জমা রাখত। আর এ সুযোগ কাজে লাগাতে আসামি কবির।

বিজ্ঞাপন

মোল্যা নজরুল আরও বলেন, কবির ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লার প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকায় ২৫টি অফিস খুলে আমানত সংগ্রহ করতে থাকে। এরপর ২০ হাজার গ্রাহক থেকে ৩শ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে তারা ২০১৩-১৪ সালের দিকে আত্মগোপনে চলে যায়। এসময় আসামীর সহযোগীরা প্রচার করতে থাকে কবির মালয়েশিয়ায় চলে গেছে। এরপর ভুক্তভোগী গ্রাহকরা থানায় অভিযোগ করলে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করে সিআইডি।

অভিযুক্ত কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিআইডির কর্মকর্তা মোল্যা নজরুল বলেন, গ্রাহকদের আত্মসাৎ হওয়া টাকা দিয়ে কবির তার নিজ এলাকা সিলেটের জৈন্তাপুরে প্রাসাদের মতো বাড়ি করেছে। গাজীপুরের কাশিমপুর, কালিগঞ্জ, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা সদর, কক্সবাজারের উখিয়া, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় সে প্রায় ৪০ একর জমি কিনেছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে প্লট, ফ্ল্যাটসহ বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে। যার মূলে ছিল গ্রাহকদের আত্মসাৎ করা টাকা। তার বিরুদ্ধে দুদকের মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত করতে গিয়ে গত ৯ জুলাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর জানা যায় গত ৫ বছরে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ২৮টি মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের পর আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

সারাবাংলা/এসএইচ/এনএইচ

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন