বিজ্ঞাপন

ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদককে ছাত্রী হলে কর্মসূচি করতে বাধা

July 18, 2019 | 9:28 am

ঢাবি করেসপনডেন্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলগুলোতে ‘অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন অন সাইবার সেফটি অ্যান্ড ৯৯৯’ শীর্ষক একটি কর্মশালার আয়োজন করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

তবে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসেনের অসহযোগিতায় গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে এবং বুধবার (১৭ জুলাই) বেগম রোকেয়া হলের কর্মশালাটি পণ্ড হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

বুধবার (১৭ জুলাই) রাতে ডাকসু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে করে এই অভিযোগ করেন তিনি। এতে ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর, শামসুন্নাহার হলের ভিপি শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি, কুয়েত মৈত্রী হলের জিএস সাগুফতা ইয়াসমিন মিশমা ও এজিএস মুন্নী আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন অভিযোগ করেন, ‘সপ্তাহব্যাপী কর্মশালা ১৬ জুলাই মঙ্গলবার হতে ২২ জুলাই পর্যন্ত চলার কথা ছিল। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের কর্মশালার সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন ছিল। এ বিষয়ে আগে থেকেই হল সংসদ ও হল প্রশাসনের সঙ্গে কয়েক দফায় আলোচনাও করেন তিনি। কিন্তু কর্মশালা শুরুর কিছুক্ষণ আগে হল প্রাধ্যক্ষ মাহবুবা নাসরিন ব্যক্তিগক কারণে কর্মশালায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে আখতারকে জানিয়ে দেন কর্মশালা হবে না। তখন অন্য কোনো শিক্ষিকা দিয়ে কর্মশালা চালিয়ে নেওয়ার কথা বললেও তিনি ‘ইনার ডিফিকাল্টিজ’ আছে বলে জানান।

বিজ্ঞাপন

কারণ জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ ডাকসুর জিএস এজিএসের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে কি না জানতে চান।

আখতার জানান, ‘এরপর তিনি জিএস গোলাম রাব্বানীকে ফোন দিলে তিনি এজিএস সাদ্দাম হোসেনের সাথে সমন্বয় করতে বলেন। কিন্তু এজিএসকে বারবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছ থেকেও ‘কার্যকরী সমাধান পাননি বলে জানান তিনি।

এদিকে, আজ বুধবার রোকেয়া হলের প্রোগ্রামও করতে পারেননি আখতার হোসেন। তিনি বলেন, আজ দুপুর রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ ম্যামকে ফোন দিলে তিনি ও হলের ভিপি, জিএস ‘এভেইল্যাবল’ না বলে জানান। এই কারণে প্রোগ্রামটি করতে পারিনি। সাদ্দাম হোসেনকে ফোন দিলেও তিনি বলেন, ‘মেয়েদের হলে প্রোগ্রামে কিছু সমস্যা আছে। এটা মেনে নেওয়া যায়না।’

বিজ্ঞাপন

কর্মশালা আয়োজনে এ পর্যন্ত ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে বলে জানান আখতার। তবে প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করতে না পারলে এই টাকা পাওয়া নিয়েই আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ভিপি নুরুল হক বলেন, হল কর্তৃপক্ষ বলে ছাত্রলীগের সাথে সমন্বয় করে প্রোগ্রাম করতে। ছাত্রলীগ কে? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি তাহলে ছাত্রলীগকে দিয়ে সব কিছু করাতে চাচ্ছে?

হল সংসদ থাকা সত্ত্বেও হল সংসদের জিএসের কথা শোনা হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যখন ছাত্রলীগের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে বলা হয়। তখন আর বলার অবকাশ থাকে না যে প্রশাসন কী পরিমাণে তাদের হাতে জিম্মি হয়ে পরেছে এবং নির্ভরশীল হয়ে পরেছে।’

এ বিষয়ে জানতে ডাকসুর এজিএস এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

বিজ্ঞাপন

প্রোগ্রাম না হওয়ার কারণ জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি হল প্রাধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।

এ বিষয়ে জানতে রোকেয়া হল প্রাধ্যক্ষ জিনাত হুদাকে একাধিকবার ফোন করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সারাবাংলা/কেকে/এমআই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন