Wednesday 04 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আরামবাগের প্রথম, মারুফুলের দশম


৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২০:৫২ | আপডেট: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২০:৫৩
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জাহিদ-ই-হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রতিষ্ঠার হিরক জয়ন্তী হয়ে গেছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের। ৬০ বছরে ঘরে একটিও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ওঠেনি মতিঝিলের ক্লাবটির। ফেডারেশন কাপে তিনবার রানারআপ হয়েছে। এ মৌসুমে দেশের সেরা কোচ মারুফুল হককে ভেড়িয়েছে ক্লাব। প্রিমিয়ার লিগে মাঝারি মানের দল নিয়ে নিরাপদ স্থানে থেকে চলমান স্বাধীনতা কাপে ফাইনালে পা রেখেছে আরামবাগের ক্লাবটি।

১৯৭২ সাল থেকে শুরু হওয়া স্বাধীনতা কাপে এই প্রথমবারের মতো ফাইনালে পৌঁছেছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। যদিও সবমিলে ৮বার মাঠে গড়িয়েছে ঘরোয়া পেশাদার ফুটবলের টুর্নামেন্টটি। জাতীয় দলের সাবেক কোচ মারুফুল হকের হাত ধরেই তরুণ দল পা রেখেছে ফাইনালে।

বিজ্ঞাপন

আরামবাগের ‘প্রথম’ হলেও কোচিংয়ে উয়েফা বি লাইসেন্স শেষ করা মারুফুল হকের জন্য এটা প্রথম নয়। পেশাদার লিগের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এটা তার ১০তম ফাইনাল। এর আগে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডানকে (২০০৭-০৯) তিনটি শিরোপা এনে দিয়েছিলেন তিনি। তার পরে ২০১৩ সালে শেখ রাসেলকে ঘরোয়া ফুটবলে প্রথমবারের ট্রেবল জয়ের স্বাদ দিয়েছিলেন সাবেক এই বুয়েট ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর। তারপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে লিগ রানারআপ করিয়েছেন ও শেখ জামালকে লিগ চ্যাম্পিয়ন করিয়েছে দেশ সেরা এই কোচ। এবারতো তরুণ দলকে দিয়ে চমক দেখিয়ে ফাইনালে নিয়েছেন দলকে।

শুনলে আরেকটু অবাক হবেন। সবশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী ও রানারআপ শেখ জামালকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে আরামবাগ। সঙ্গে বিপিএলের সেরা চারে থাকা দুই দল চট্টগ্রাম আবাহনী ও সাইফ স্পোর্টিং বাধাও পেরিয়েছেন গ্রুপ পর্যায়ে। সেই দলকেই ফাইনালে তুলেছেন মারুফুল হক।

চ্যাম্পিয়ন মারুফুল হকের টুপিতে আরও চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাও আছে। তবে সেটা সর্বোচ্চ লিগে নয়। এএফসি থেকে সি-বি-এ কোচিং ক্যাটাগরির লাইসেন্স কোর্স শেষে যখন ২০০১ যখন বাড্ডা জাগরণীর দ্বায়িত্ব পেলেন। তখন প্রথম ডিভিশনে এই ক্লাবকে অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন করেছেন এই কোচ। তার পরের বছরেই পেশাদার লিগের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কোচিং শুরু করেন।

উত্থান-পতনের মাঝে তার কোচিং ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি সফলতাই দেখেছেন। এবারও আরামবাগকে ফাইনালে তুলতে পেরে খুশি তিনি, ‘চেয়েছিলাম সেমিতে খেলবো। খেলেছি। এরপর খেলোয়াড়দের মোটিভেট করেছি। ফাইনালে গেছে ছেলেরা। আশা করবো জয়ের ধারা অব্যাহত থাক।’

স্বাধীনতা কাপে প্রথম সেমিতে পা রাখার জন্য প্রথমে খেলোয়াড়দের জন্য দুই লাখ টাকা পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন ক্লাবের সভাপতি মমিনুল হক সাঈদ। এবার পুরস্কারের আকার বাড়িয়ে চার লাখ করেছেন তিনি।

মারুফুলের কোচিংয়ে বদলে যাওয়া এই আরামবাগ শিরোপার এক ধাপ দূরে অবস্থান করছে। চ্যাম্পিয়ন হবে কি? সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল (১০ জানুয়ারি) পর্যন্ত।

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর