বিজ্ঞাপন

চার নয়, ১১ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছিলেন ‘বড় হুজুর’

July 28, 2019 | 8:02 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লায় দারুল হুদা মহিলা মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মুফতি মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মাদরাসার চার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তাকে আটক করা হলেও, তার বিরুদ্ধে ১১ ছাত্রীকের ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে এক ছাত্রীর অভিভাবক বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, মিথ্যা ফতোয়া দিয়ে তিনি ছাত্রীদের ভয় দেখাতেন। তাবিজ দিয়ে পাগল করে দেবেন, পরিবারের ক্ষতি করবেন এমন ভয় দেখিয়ে তিনি ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী ছাত্রীদের তার ব্যক্তিগত কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন করতেন।

এর আগে শনিবার বিকেলে ফতুল্লা থানার ভূঁইগড় এলাকায় মাদরাসাটিতে র‌্যাব অভিযান চালায়। এ সময় তার মোবাইল ফোনে ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী চার ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের ভিডিও এবং ছবি পাওয়া যায়।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা জানান, মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ি নেত্রকোনায়। ছয় বছর আগে তিনি তিনি মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরিবার নিয়ে সেখানেই বসবাস করছেন। ছাত্রছাত্রীদের কাছে তিনি বড় হুজুর নামে পরিচিত।

র‌্যাব জানায়, দারুল হুদা মহিলা মাদরাসার মোট ছাত্রী ৯৫ জন। তাদের মধ্যে আবাসিক ছাত্রী ৩০ থেকে ৩৫ জন। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন ছাত্রীর পরিবারের কাছ থেকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মাদরাসায় অভিযান চালানো হয়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:
চার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসার ‘বড় হুজুর’ আটক

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এটি

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন