বিজ্ঞাপন

টাইগার পেসারদের ধারাবাহিক দেখতে চান নতুন কোচ

July 29, 2019 | 5:59 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশ দারুণ সব সাফল্য পেয়েছে। কারণটা পরিস্কার, টাইগার বোলাররা প্রতিপক্ষের সব উইকেট তুলে নেওয়ার মতো লাইন আর লেংথে ডেলিভারি দিতে পারতো। বিশেষ করে নতুন বলে পেসাররা ছিল দুর্দান্ত। এই বিশ্বকাপে পেসারদের সেভাবে জ্বলে উঠতে দেখা যায়নি। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে অষ্টম স্থান নিয়ে দেশে ফিরতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপের পর পরই পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশকে বিদায় জানায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। স্পিন কোচ সুনীল যোশির সঙ্গেও চুক্তি নবায়ন করেনি বিসিবি। নতুন কোচ হিসেবে ওয়ালসের উত্তরসূরি হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার ও সাবেক বোলিং কোচ ল্যাঙ্গাভেল্ট। আর স্পিন পরামর্শক হিসেবে টাইগার স্পিনারদের সঙ্গে ১০০ দিন কাজ করবেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক দলপতি ড্যানিয়েল ভেট্টরি।

ল্যাঙ্গাভেল্ট বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। টাইগার পেসারদের নতুন বলে কার্যকর ও লাইন-লেংথে ধারাবাহিক দেখতে চান এই প্রোটিয়া কোচ।

ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে নতুন পেস বোলিং কোচ ল্যাঙ্গাভেল্ট জানালেন, ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে ভালো কিছু করতে হলে আপনাকে ধারাবাহিকভাবে নতুন বলে উইকেট তুলে নিতে হবে। ধারাবাহিকভাবে লাইন আর লেংথ ঠিক রেখে বল ফেলতে হবে। ওভারে অন্তত চার-পাঁচটি বল এমন জায়গায় রাখতে হবে যেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে তা ভাবতে বাধ্য করে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখেছি বাংলাদেশ নিজেদের মাটিতে একজন বা দুজন পেসার খেলায়। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায় গেলে তিন পেসার লাগতে পারে। আমি তিনজন ফিট বোলার খুঁজে বের করবো, যারা ধারাবাহিকভাবে ভালো জায়গায় বল রাখবে ও লেংথে আগ্রাসী হবে।

নতুন পেস বোলিং কোচ যোগ করেন, আপনাকে সেরা হতে হলে নতুন বলে ধারাবাহিক হতে হবে, লেংথে ধারাবাহিক হতে হবে। মোস্তাফিজ তার বলের গতিতে পরিবর্তন আনতে পারে। কিন্তু নতুন বলে সেটি করা কঠিন। অনেক সময়ই উইকেট গ্রিপ করবে না। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো বলের সিম পজিশন ভালো ও সোজা রেখে বল করা। মোস্তাফিজ অনেক অফ কাটার ব্যবহার করে। তবে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হবে ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য বল ভেতরে ঢোকানো, বাঁহাতিদের জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়া।

বাংলাদেশি বোলাররা দেশের বাইরে টেকনিক্যাল সমস্যায় ভোগে বলেন জানালেন ল্যাঙ্গাভেল্ট। তিনি জানান, এটা আমার জন্য খুব ভালো একটি চ্যালেঞ্জ। দুই বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং কোচ থাকার সময় বাংলাদেশের বোলারদের দেখেছিলাম। দেখেছি বাংলাদেশের বোলারদের বিদেশের কন্ডিশনে ধুঁকতে। তারা ধারাবাহিকভাবে লাইন-লেংথে বল রাখতে পারছিল না। এগুলো ঠিক করা সম্ভব। আমাকে এটা দেখতে হবে টেকনিক্যাল সমস্যা হিসেবে। আর এটিই হবে আমার চ্যালেঞ্জ।

বিজ্ঞাপন

প্রোটিয়া সাবেক এই কোচ আরও যোগ করেন, অ্যাওয়ে কিংবা হোম সিরিজে ভালো করতে হলে আপনার দরকার হবে ভালোমানের কিছু পেসার। ভারত ভালো করছে কারণ তারা সব জায়গায় খেলছে। তাদের ভালো কিছু স্পিনারদের সঙ্গে যোগ হয়েছে ভালোমানের কিছু পেসার। একটা সিস্টেমের মধ্যদিয়ে আমি বাংলাদেশের ভালো কিছু পেসার বের করে আনবো, যাতে তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভালো কিছু করতে পারে। আমি প্রথমে বোলারদের কাছাকাছি যাব, তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। সে কি ভাবছে সেটি নিয়ে আলোচনা করব। এরপর আমি নিজের কোচিং দর্শন তাদের উপর প্রয়োগ করব। সাথে এটাও বলবো তুমি যদি বিশ্বের এক নম্বর বোলার হতে চাও, তাহলে তোমার কি কি প্রয়োজন হবে। তাদের বলব তোমার কি সাহায্য করতে পারি। যদি সেটা কোনো টেকনিক্যাল বিষয় হয় আমি তাকে অবশ্যই সাহায্য করব। কিন্তু তার আগে এটা আমার আর বোলারদের মধ্যে একটা আলোচনার মধ্যদিয়ে হতে হবে।

সারাবাংলা/এমআরপি

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন