বিজ্ঞাপন

‘যতদিন বেঁচে আছি সাংবাদিকের পক্ষে দাঁড়াব’ 

February 6, 2018 | 2:48 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা সাংবাদিকদের ঘায়েল করার জন্য করা হয়নি। কেন আপনারা ঘাড়ে নিচ্ছেন? সত্য এবং জনগণের স্বার্থে তথ্য উদঘাটন করেন এতে সাংবাদিকের কোনো সমস্যা হবে না।’

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ল’রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আবেগ নিয়ে বলছি না। আজকে থেকে যতদিন বেঁচে থাকি, অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য যদি কোনো মামলা হয় আমি কোর্টে আপনাদের (সাংবাদিকদের) পক্ষে দাঁড়াব।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘ন্যায়সঙ্গত কারণ থাকলে দরকার হলে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা সুরক্ষার বিষয়টি ৩২ ধারার সাব সেকশনে অন্তভুর্ক্ত করা হবে।’

‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যে ধারাটি ৩২ এ নিয়ে আসা হয়েছে তা আরও কঠিন। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এ আইনটি কতটুকু সহায়ক’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন,  ‘২০১৩ সালে ৫৭ ধারায় সাজা বাড়ানো হয়। আজকের অবস্থান হচ্ছে ৫৭ ধারা থাকবে না। এটা তো বিলুপ্ত হবে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধগুলো অনেক স্পষ্ট করা হয়েছে। ছোটো অপরাধের জন্য ছোটো সাজা। বড় অপরাধের জন্য বড় সাজার বিধান রাখা হয়েছে। ৩২ ধারায় যে অপরাধগুলো রাখা হয়েছে তার সবগুলোই পেনাল কোডের অপরাধ। যেমন ধরেন ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে চুরি হয় তাহলে আদালত সাজা দিতে পারবে না।

বিজ্ঞাপন

এই সরকার গণতন্ত্র রোধ করতে চায় না, গণতন্ত্র আরও প্রতিষ্ঠিত হোক সেটা চায় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘৩২ ধারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।’

মন্ত্রী বলেন, এটা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আনা হল এই কারণে, কেউ যদি ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে চুরি করে। চুরির যে সংজ্ঞা পেনাল কোডে আছে এটা যদি আপনি ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে করেন তাহলে কিন্তু আদালত আপনাকে সাজা দিতে পারবে না। তাতে মামলাও হবে না। কারণ আমাদের পেনাল কোডের ডেফিনেশন অব ফ্যাক্টসের মধ্যে পরবে না। সেটা চুরি কিন্তু। সেক্ষেত্রে আমরা ডিজিটাল ডিভাইসের চুরিকে সংজ্ঞায়িত করেছি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। সেই রকমই কিন্তু ৩২ ধারা।”
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে ৮১ মিলিয়ন চুরি হয়ে হয়েছে এটার জন্য যারা দায়ী তাদেরকে কি আমাদের সাজা দিতে হবে না? এখানে অনেক রকম অপরাধ হয়। গুপ্তচরবৃত্তি যেমন অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে আছে সেরকম অপরাধ যদি ডিজিটাল ডিভাইস দিয়ে করা হয় তাহলে পরে সেটা অপরাধ হিসেবে ধরে ৩২ ধারায় সাজা দেওয়া হবে।
 গুপ্তচরবৃত্তি সংজ্ঞা প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, “ওইখানে কিন্তু পরিষ্কারভাবে বলা আছে কাজটা কীভাবে করলে পরে তা গুপ্তচরবৃত্তি হবে। গুপ্তচরবৃত্তির মানে হচ্ছে স্পায়িং। একজন সাংবাদিকের অনুসন্ধানকে গুপ্তচরবৃত্তি হবে না। স্পায়িং হলো সেটা যে, আপনি তথ্যটা নিবেন তথ্যটা নিয়ে সরকারের শত্রুর কাছে বা দেশের শত্রুর কাছে তথ্যটা পার করে দেনে। এটাকে কিন্তু গুপ্তচবৃত্তি বলে। আপনি একটা তথ্য নিয়ে গেলেন এটা কিন্তু গুপ্তচরবৃত্তি না। একটা অপরাধের জন্য মূল বিষয় হলো মেন্সরিয়া (অপরাধমূলক মন)। আপনি একটি রিপোর্টিং কিন্তু অসৎ উদ্দেশ্য না্ই। এক্ষেত্রে আপনি ৩২ ধারায় পরবেন না এবং যিনি দিয়েছেন তিনি দায়িত্বে অবহেলার জন্য হয়তো দোষী হতে পারন। কিন্তু ৩২ ধারায় তিনিও পরবেন না।”
ল’ রিপোটার্স ফোরামের সভাপতি অাশুতোষ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অারও উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক অাজিজুল ইসলাম পান্নু, সহ-সভাপতি মাশহুদুল হক, প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য  অাব্দুল হান্নান, সাবেক সভাপতি এম বদি-উজ-জামান,সাবেক সহ সভাপতি ইলিয়াস হোসেনসহ সংগঠনের অনান্য সদস্যরা।
 সারাবাংলা/এজেডকে/জেডএফ

 

 

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন