বিজ্ঞাপন

আগস্টের শেষ দিকে ফিরবেন মাশরাফি

July 30, 2019 | 5:50 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

শ্রীলঙ্কা সিরিজ খেলতে দেশ ছাড়ার ঠিক আগের দিন সন্ধ্যায় মিরপুরে ফ্লাড লাইটের আলোয় অনুশীলনের সময় বাঁপাশের মাংসপেশীতে আবার চোট পান মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। রাত নাগাদ খবর হলো, তিনি এই সিরিজে থেকে ছিটকে গেছেন। তাৎক্ষণিক তার বদলি ঘোষণা করা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে পূর্ণ বিশ্রাম নিতে দেশে থেকে যান লাল সবুজের ওয়ানডে দলপতি।

বিজ্ঞাপন

চোট পাওয়ার পর তার ক্ষত দেখে বিসিবি প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, সেরে উঠতে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। কিন্তু মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) শোনালেন, সময়টি আরো দীর্ঘায়িত হবে। যেহেতু ‘রি ইনজুরি’ (একই জায়গা আবার চোট) সেহেতু তাকে দেড় মাস বিশ্রামে থাকতে হবে। অর্থাৎ আগস্টের শেষ দিকে আবার বল হাতে দেখা যাবে লাল সবুজের এই সেরা পেসারকে।

দেবাশীষ চৌধুরী জানালেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে মাশরাফির আলট্রাসাউন্ড স্ক্যান করি। সেখানে গ্রেড ওয়ান মাংস পেশীর ইনজুরি ধরা পড়ে। সাধারণত এই জাতীয় ইনজুরিতে তিন সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হয়। ব্যথামুক্ত বিশ্রামে থাকতে হয়। কিন্তু মাশরাফির ক্ষেত্রে আমরা ধারণা করছি এটা একটা রি ইনজুরি। তার মানে একই চোট সে আবার পেয়েছে। সেক্ষেত্রে পুনর্বাসন ও সেরে উঠার সময়টা দীর্ঘ হবে। প্রথমবার ইনজুরি হলে সাধারণ তিন সপ্তাহ সময় নেয় সেরে উঠতে। কিন্তু দ্বিতীয়বার যদি একই জায়গায় ইনজুরি হয় সেরে উঠতে দ্বিগুণ সময় লাগে। প্রায় দেড় মাসের মতো সময় নেয়।’

দলপতির ইনজুরিটা যেন কোনোভাবেই আবার ফিরে না আসে সেই লক্ষ্যে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থানে বাংলাদেশ ক্রিকেটর সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিসিবি। কেননা তাতে করে পুরো মৌসুমই তাকে মাঠের বাইরে কাটাতে হবে।

বিজ্ঞাপন

দেবাশীষ চৌধুরী যোগ করেন, ‘আমরা আরো বেশি কনসার্ন, ওর এই ইনজুরিটা তৃতীয়বারের মতো যেন না হয়। অর্ধেক সেরে উঠে যদি খেলায় ফিরে আসে তাহলে আবার ইনজুরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত দেখা দেখা যায় একটা মাংসপেশী যদি তিনবার একই জায়গায় আঘাত প্রাপ্ত হয় তাহলে এই মৌসুমটা সে খেলতে পারবে না। সেক্ষেত্রে তার জন্য আমাদের পরিকল্পনা হলো, তৃতীয়বার যেন আঘাত না পায় সেটা আমাদের তাকে নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য তার সেরে ওঠার প্রক্রিয়াটি একটু দীর্ঘায়িত হবে। প্রয়োজন হলে আমরা তৃতীয়বার স্ক্যান করব।’

‘আমরা তাড়াহুড়ো না করে একটু সময় নিচ্ছি। তার সঙ্গে যতটুকু কথা হয়েছে, তার দৈনন্দিন চলাফেরায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তার মানে ওর রিকভারি ভালো হচ্ছে। তবু আমরা আঘাতের পর থেকে ২১ দিন ওকে বিশ্রামে থাকতে বলেছি যাতে করে ব্যথা ফেরে এমন কোনো কাজ সে না করে। এরপরে ওর পুনর্বাসন, ফিজিওথেরাপি ও এক্সারসাইজ একসাথে শুরু করব। আপাতত আমরা আশা করছি আঘাতের দিন থেকে দেড় মাস সময় লাগবে।’ জানালেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন