বিজ্ঞাপন

ছুরি-কাঁচির নিচে যেতে হচ্ছে মাহমুদউল্লাহকে!

July 30, 2019 | 7:44 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে মনে হলো, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ইনজুরি ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি তো বটেই গোটা টাইগার টিম ম্যানেজমেন্টও মহাচিন্তায় দিনাতিপাত করছেন। কেননা ইনজুরির প্রচলিত ব্যবস্থাপনায় (ব্যায়াম,সুইমিং ও ফিজিও থেরাপি) তিনি ব্যাটিং করতে পারলেও বোলিং করতে পারছেন না। অপর ব্যবস্থাপনা ইনজেকশন। কিন্তু সেটা পুশ করলেই যে তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন সেই নিশ্চয়তা দিতে পারছে না খোদ চিকিৎসা বিজ্ঞানও।

বিজ্ঞাপন

বাকি থাকলো কেবল অস্ত্রোপচার। কিন্তু সেটা আবার বেশ দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। কেননা একবার তার চোটাক্রান্ত কাঁধে অস্ত্রোপচার করা হলে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে সময় লাগবে প্রায় এক বছর।

এমতাবস্থায় করণীয় কি? না, সেই উত্তর এখনই দিতে পারছেন না বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই প্রধান চিকিৎসক। শ্রীলঙ্কা সফর শেষে মাহমুদউল্লাহ দেশে ফিরলে তাকে নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে মিটিং করে তবেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে তিনি যে ইঙ্গিত দিলেন তাতে মনে হলো, তাকে পুরোপুরি সুস্থ করে মাঠে ফেরাতে তৃতীয় পদ্ধতিই অনুসরণ করতে যাচ্ছে বিসিবি।

দেবাশীষ চৌধুরী জানালেন, ‘বিশ্বকাপ শেষে শ্রীলঙ্কা সিরিজ শুরু হওয়ায় আমরা বিষয়টি নিয়ে বসতে পারিনি। সিরিজ শেষে দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনা করতে পারি। তবে তার আগে মাহমুদউল্লাহ ও টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করে করতে হবে। কেননা যদি আমরা অপারেশন করি তাহলে পরিপূর্ণ সুস্থ হতে মাহমুদউল্লাহর লম্বা সময় লাগবে। আমরা দেখেছি এই ক্ষেত্রে অপারেশনের পরে সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে ৮ মাস থেকে ১ বছর সময় লেগে যায়। ইনজেকশন একটা পদ্ধতি হতে পারে। কিন্তু ইনজেকশন শতভাগ পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার নিশ্চয়তা দেয় না। তাই সেটাও আলোচনার বিষয়।’

বিজ্ঞাপন

চলতি বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফর শেষে কাঁধের ব্যথা নিয়ে দেশে ফেরেন মিস্টার কুল মাহমুদউল্লাহ। ব্যথা তুলনামূলক সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও আয়ারল্যান্ড সিরিজ ও বিশ্বকাপে পুরোপুরি সু্স্থ হয়ে খেলতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলেননি। কিন্তু বিধি বাম। মে মাসে আয়ারল্যান্ড সিরিজে ওই ইনজুরি বাধা তাকে বোলিং করতে দেয়নি। বিশ্বকাপেও তাই।

বলার অপেক্ষাই রাখছে না বিশ্বকাপে তিনি পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় খেসারত দিতে হয়েছে গোটা দলকে। কাঁধের চোটে একে তো বোলিং করতে পারেননি, ব্যাট হাতেও নিজের সেরাটি দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। শ্রীলঙ্কায় চলমান সিরিজেও সেই মাহমুদউল্লাহকেই দেখছে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। সিরিজে প্রথম ওয়ানডেতে ১ ওভার বল করলেও কার্যকারীতা ছিল শূন্য। ব্যাটিংয়ে দুই ম্যাচ থেকে সংগ্রহ ৬ ও ৩ রান। আর ফিল্ডিংয়ের কথা বলাই বাহুল্য!

তার শরীরের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় ক্রিকেট খেলা নিয়ে দেবাশীষের মতামত হলো, ‘মাহমুদউল্লাহর বোলিং করার ব্যাপারে আমাদের মেডিকেল দিক থেকে কোনো নিষেধ নেই। সে যদি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে বোলিং করতে পারে। কিন্তু আমার ধারণা সে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছে না। আমরা ডায়াগনোসিস করে যেটা পেয়েছি, সেটার ম্যানেজমেন্ট তিন ধরণের। একটা পুরোপুরি কনজারভেটিভ (ব্যায়াম,ফিজিও থেরাপি), একটা হচ্ছে ইনজেকশন। আর অপরটি অপারেশন। কিন্তু অপরাশেন যেহেতু জটিল প্রক্রিয়া সেহেতু অপারেশনটা আমরা শেষ চিকিৎসা হিসেবে দেখব। আগে আমরা চেষ্টা করব কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে ঠিক করা যায় না। এই মুহূর্তে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্ট দিয়ে সে ব্যাটিং করে যাচ্ছে কিন্তু বোলিং করতে পারছে না। তার মানে এই পদ্ধতি তাকে পর্যাপ্ত সাপোর্ট দিতে পারছে না। মানে আমাদের এর পরবর্তী চিকিৎসা নিয়ে চিন্তা করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন