বিজ্ঞাপন

‘এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না হলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়বে’

July 31, 2019 | 10:11 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: এডিস মশার প্রজননের স্থান ধ্বংস না হলে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বাড়বে বলে সতর্ক করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক সেব্রিনা ফ্লোরা। মশার প্রজননস্থল নির্মূলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৩১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আইইডিসিআরের পরিচালক সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি জানান, নেত্রকোণা ছাড়া দেশের বাকি সব জেলাতেই মানুষের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘যত ওষুধই ব্যবহার করি না কেন, সোর্স রিডাকশন (উৎস বা প্রজননস্থল) যদি কমানো না যায়, তাহলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। যদি সোর্স রিডাকশনে আমরা সবাই মিলে কাজ না করি, তাহলে ট্রেন্ড থামানো যাবে না। সেদিক থেকে প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন করার দায়িত্ব আমাদের সবার।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোনো কারণে কার্যকরভাবে এটা নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে প্রতিবছর এটা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যায়। পিক টাইম সেপ্টেম্বরে। সুতরাং এখানে একটাই পদ্ধতি, সেটা হচ্ছে সোর্স রিডাকশন।’

বিজ্ঞাপন

ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস ইজিপ্টি মশার উৎসস্থল পরিচ্ছন্ন করার ওপর এবার গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। এছাড়াও সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা হবে বলেও জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. সানিয়া তহমিনা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসে প্রশিক্ষণ দিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪০০ দল ঢাকা শহরের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের দুই লাখ শিক্ষার্থীর কাছে যাবে। তারা ডেঙ্গুর উৎসস্থল নির্মূলে কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে শিশুদের প্রশিক্ষণ দেবে, তারা যেন আবার বাসায় গিয়ে তা প্রয়োগ করতে পারে।’

ডেঙ্গু পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় রি-এজেন্ট সংকট বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডা. সানিয়া তহমিনা বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে ৫০ হাজার এনএসওয়ান কিট আমদানি করা হচ্ছে। এগুলো যেহেতু দেশে তৈরি হয় না, এজন্য এগুলো আনতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগবে না। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও এক লাখ কিট দেবে যেগুলো আমরা বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেবো। এগুলো বিনা পয়সায় দেওয়া হবে।’

বিজ্ঞাপন

এরই মধ্যেই ডেঙ্গু পরীক্ষায় আরডিডি কিট সব জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ডা. সানিয়া তহমিনা। এছাড়াও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ডেঙ্গু গাইডলাইন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম এম আক্তারুজ্জামান ও স্বাস্থ্য অধিদফতরেরর সহকারী পরিচালক আয়েশা আক্তার।

এর আগে, বুধবার (৩১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের দৈনিক প্রতিবেদনে জানানো হয় দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৪ জন। প্রতিবেদনে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৭৭ জন ডেঙ্গু রোগী। এর মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৯২৮ জন। আর ঢাকা শহর বাদে ঢাকা বিভাগীয় এলাকায় রোগীর সংখ্যা ১১২ জন। ঢাকার বাইরে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫৪৯ জন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন