বিজ্ঞাপন

হাফিজ ইব্রাহীমের ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড হাইকোর্টে বহাল

February 6, 2018 | 5:47 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা:ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে নিম্ন আদালতের দেওয়া তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানা বহাল রেখে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

তবে রায়ে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে দুই বছরের বেশি সময় সাজা খাটায় বাকি সময় সাজা খাটতে হবে না।

অন্যদিকে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নিম্ন আদালতের দেওয়া ১০ বছর কারাদণ্ড ও এক কোটি টাকার জরিমানা থেকে তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও হাফিজ ইব্রাহীমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম।

পরে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম জানান, জ্ঞাত আয় বহির্ভুত ও সম্পদের তথ্য গোপনের দুটি অভিযোগে একটি মামলা করে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই মামলা নিম্ন আদালত জ্ঞাত আয় বহির্ভূতের অভিযোগে ১০ বছর কারাদণ্ড ও এক কোটি টাকা জরিমানা করে এবং তথ্য গোপনের অভিযোগে তিন বছর কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হলে দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ (৬ ফেব্রুয়ারি) রায় ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

রায়ে জ্ঞাত আয় বহির্ভূতের অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আর সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে তিন বছরের সাজা বহাল রাখা হয়েছে। তবে আদালত বলেছেন যেহেতু তিনি দুই বছরের বেশি সাজা খেটেছেন বাকি সময় তার আর সাজা খাটতে হবে না। ৫০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ডের কথা বলেছেন আদালত।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০১-২০০৬ মেয়াদে চার দলীয় জোট সরকারের সময় ভোলা-২ আসনের (বোরহান উদ্দিন-দৌলতখান) সংসদ সদস্য ছিলেন বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহীম। তার ভাই গিয়াসউদ্দিন আল মামুন বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পরিচিত।

জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে হাফিজ ইব্রাহীম ও তার স্ত্রী মাফরুজা সুলতানার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৮ মে গুলশান থানায় মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা তাদের ঘোষিত আয়ের বাইরে অবৈধভাবে ২০ কোটি ১৯ লাখ ৮৫ হাজার ৫৬৯ টাকার সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। কমিশনে দাখিল করা সম্পদের হিসাব বিবরণীতে এসব সম্পত্তির তথ্য গোপন করেছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

এই মামলায় ২০০৮ সালের ১৯ জুন নিম্ন আদালতের রায়ে হাফিজ ইব্রাহীমকে ১৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো দেড় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুর্নীতিতে সহযোগিতার দায়ে মাফরুজা সুলতানাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সারাবাংলা/এজেডকে/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন