বিজ্ঞাপন

চড়া মশলার বাজার, কেজিতে হাজার টাকা বৃদ্ধি

August 3, 2019 | 10:34 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সব ধরণের মশলার দাম বেড়েছে। কোনো কোনো মশলার দাম কেজিতে বেড়েছে হাজার টাকাও। পর্যাপ্ত যোগান থাকলেও ধীরে ধীরে দাম বাড়ানো হয়েছে এলাচ, জিরা, দারচিনি, লবঙ্গ ও গোল মরিচের। রোজার ঈদের পর থেকেই পর্যায়ক্রমে বেড়েছে এসব পণ্যের দাম। কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের একাধিক বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

ঈদের বাকি আছে দুই সপ্তাহেরও কম সময়। প্রতিবছরের মতো এবারও চড়া হয়েছে মশলার বাজার। গত এক মাস ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মশলা জাতীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম। ক্রেতাদের অভিযোগ বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে একটি অসৎ মহল হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।

বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে এলাচ প্রতি কেজি ২৪০০ থেকে ২৮০০ টাকা, জিরা ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা, দারচিনি ৪২০ টাকা, লবঙ্গ ৮৬০ টাকা , গোলমরিচ ৫২০ টাকা, জয়ত্রী ২৫০০ টাকা, কাঠবাদাম ৮৫০ টাকা,  পেস্তাবাদাম ২২০০ টাকা ও কাবাবচিনি ৩৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এসব পণ্যের মধ্যে এলাচের দাম বেড়েছে কেজিতে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, দারচিনি ৮০ টাকা, জয়ত্রী ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাঠবাদাম ১০০ টাকা, পেস্তাবাদাম ৮০০ টাকা ও কাবাবচিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০০০ টাকা। রোজার পর থেকেই ধীরে ধীরে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে।

কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের মায়ের দোয়া স্টোরের কর্মচারী বাবলু সারাবাংলাকে বলেন, এক মাস আগে থেকেই মশলা জাতীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। এলাচের দাম বাড়ছে ২০ দিন আগে। আগের চেয়ে এখন কেজিতে এলাচের দাম ২০০ টাকা বেশি। বেড়েছে দারচিনির দামও। ক্রেতাকে এখন দারচিনির জন্য কেজিতে বাড়তি ৮০ টাকা গুণতে হচ্ছে৷

বিজ্ঞাপন

একই মার্কেটের হাজী মিজান এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী জাকির বলেন, মশলার দাম এক মাস আগেই বেড়ে গেছে। এখন বরং আগের চেয়ে এলাচের দাম কিছুটা কমেছে। ১০০ টাকা কমে এলাচ ২৩৫০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে৷ দারচিনির দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। সাড়ে চারশো টাকা কেজি প্রতি দারচিনি বিক্রি হচ্ছে এখন।

শরীয়তপুর স্টোরের মালিক মোহাম্মদ আকতার সারাবাংলাকে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে মশলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে দাম বেড়েছে এলাচ, দারচিনি, জয়ত্রী, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম ও কাবাবচিনির। এসব পণ্যের মধ্যে কোনো কোনোটির কেজিতে দাম বেড়েছে হাজার টাকার বেশি। আরেক দোকানি এমআর ট্রেডাসের মালিক সেলিম আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, সব ধরণের মশলার দামই কিছু না কিছু বেড়েছে। রোজা ও বাজেটের পর থেকেই দাম বাড়ছে। তবে বাজারে মশলার পর্যাপ্ত জোগান রয়েছে।

বাজার করতে আসা ক্রেতা রহিমা বেগম বলেন, যখন যে পণ্যের চাহিদা বেশি সেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আর এভাবে আমাদের গলা কাটা হয়। মশলার দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতি ঈদে আমাদের মতো নিম্নআয়ের মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, ঈদকে সামনে রেখে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ রসুন ও আদার। কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৩৬ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া রসুন ১৬৫ থেকে ১৭০ ও  আদা ১৩২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক মাসের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম কেজিতে ১০ থেকে ৭০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা ঈদকে সামনে রেখে বাড়তি চাপে পড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এইচএ

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন