বিজ্ঞাপন

বেকার হোস্টেলে বসলো বঙ্গবন্ধুর সঠিক আদলের মূর্তি

August 4, 2019 | 11:16 am

কলকাতা করেসপন্ডেন্ট

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লেখাপড়া করতেন কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে (বর্তমান নাম মৌলানা আজাদ কলেজ)। সেখানকার ছাত্র হিসেবে ১৯৪৫-৪৬ সালে বিখ্যাত বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

স্মৃতি বিজড়িত সেই হোস্টেলে আগেই বসানো হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর একটি আবক্ষ মূর্তি। তবে তার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর চেহারার তেমন মিল ছিল না। ফলে আট বছর পর সেই মূর্তিটি সরিয়ে শনিবার (৩ আগস্ট) সকালে বসানো হয়েছে নতুন আরেকটি আবক্ষ মূর্তি।

শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকীকে সামনে রেখে কলকাতার ৮নম্বর স্মিথ লেনে অবস্থিত বেকার হোস্টেলে শনিবার সকালে উন্মোচন করা হয় নতুন আবক্ষ মূর্তিটি। হোস্টেলের যে কক্ষে বঙ্গবন্ধু থাকতেন তার সামনেই প্রতিস্থাপন করা হয়েছে মূর্তিটি। নতুন এই আবক্ষ মূর্তিটি তৈরি করেছেন বাংলাদেশের ভাস্কর লিটন পাল রনি।

বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম মূর্তিটি উন্মোচন করেন। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, পশ্চিমবঙ্গের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী জাবেদ আহমেদ খান, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, হাইকমিশনের ফার্স্ট (প্রেস) সেক্রেটারি মহম্মদ মোফাকখারুল ইকবাল, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন (আইসিসিআর) আঞ্চলিক কর্মকর্তা গৌতম রায়।

বিজ্ঞাপন

তাজুল ইসলাম বলেন  ‘আমি গত মার্চ মাসে বেকার হোস্টেল পরিদর্শন করতে এসে বঙ্গবন্ধুর আগের মূর্তিটির সঙ্গে তার চেহারার অমিল দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ করেছিলাম। তাকে জানিয়েছিলাম বিষয়টি। এরপর জাতির জনকের চেহারার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ মূর্তি প্রতিস্থাপন করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যথাযথভাবে আমাদের সহায়তা করেছে।’

বেকার হোস্টেল গোটা বাঙালি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটা সংরক্ষণে তাদের পক্ষ থেকে সব রকমের সহযোগিতা করা হবে।

বিজ্ঞাপন

পশ্চিমবঙ্গের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী জাবেদ আহমেদ খান বলেন, ‘শেখ মুজিবর রহমান কলকাতার বেকার হোস্টেলে ছিলেন এটা আমাদের জন্য গর্বের। তার স্মৃতি সংরক্ষণের অংশ হতে পেরে ভালো লাগছে। বাংলাদেশ ও ভারত এক সঙ্গে চলতে চায়।’

বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে ১৯৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে বেকার হোস্টেলের ২৩ ও ২৪ নম্বর কক্ষ নিয়ে গড়া হয় বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ। কক্ষটিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত খাট, চেয়ার, টেবিল ও আলমারি।

১৯৯৮ সালের ৩১ জুলাই বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক সত্যসাধন চক্রবর্তী। আর ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি স্মৃতি কক্ষের সামনে বঙ্গবন্ধুর একটি আবক্ষ মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেছিলেন। সেই অনুষ্ঠানেই বঙ্গবন্ধুর মূর্তি দেখে উপস্থিত সকলেই সমালোচনা করেন। এটি দ্রুত পরিবর্তনের দাবিও ওঠে।

 

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএমএন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন