বিজ্ঞাপন

‘রাজধানীর বায়ুদূষণের জন্য ৫৮ ভাগই দায়ী ইটভাটা’

August 5, 2019 | 5:36 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর বায়ুদূষণের জন্য এর আশেপাশের ইটভাটাগুলো ৫৮ ভাগ দায়ী বলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে উঠে এসেছে। বৈঠকে জানানো হয়, বৈধ-অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়া ধ্বংস করছে পরিবেশ। মাটি কেটে ইট তৈরি করায় একদিকে নস্ট হচ্ছে ফসলি জমি। অন্যদিকে ইট পোড়াতে কাঠ ব্যবহারে উজাড় হচ্ছে বন। আবার ইটশিল্প দেশের গ্রিনহাউজ গ্যাসের সবচেয়ে বড় উৎস হওয়ায় হুমকির মুখে মানুষের খাদ্যচক্র।

বিজ্ঞাপন

এ পরিস্থিতিতে পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করছে সরকার। সোমবার (৫ আগস্ট) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে পরিবেশের দূষণ রোধে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত আসে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের সব ইটভাটা পরিবেশসম্মত উপায়ে ব্লক পদ্ধতিতে অর্থাৎ নির্দিষ্ট ছিদ্রযুক্ত ইট তৈরি করবে। প্রাথমিকভাবে চলতি বছরে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে ২০ শতাংশ ইটভাটায়। পরের বছর তা হবে ৩০ শতাংশ ভাটায় কার্যকর করা হবে। আর ২০২৪ সাল নাগাদ ১০০ ভাগ ইটভাটায় এ পদ্ধতি কার্যকর হবে।

এ বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীন বলেন, ‘এখন থেকে আইনের কঠোর প্রয়োগ হবে। পরিবেশের ক্ষতি করে, ফসলি জমি ধ্বংস করে এবং খাদ্যে হুমকি সৃষ্টি করে ইটভাটাগুলোকে এমন কোনো কাজ করতে দেওয়া হবে না। ‘

বিজ্ঞাপন

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, সারাদেশে বর্তমানে ইটভাটার সংখ্যা সাড়ে সাত হাজার। ভাটাগুলোতে ইট উৎপাদনের জন্য প্রায় ৩৩৫ কোটি ঘনফুট মাটি ব্যবহার করা হয়। আর ভাটাগুলোতে ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হয় ৫৭ লাখ টন কয়লা। এতে মারাত্মকভাবে পরিবেশ ও বায়ুদূষিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৯-এ সবধরনের নির্মাণকাজের জন্য ব্লক পদ্ধতিতে ইট তৈরির কথা থাকলেও তা সিংহভাগ ইটভাটাই করে না। অন্যদিকে ইটভাটাগুলোতে ১২০ ফুট চিমনি রাখার কথা আইনে থাকলেও তা কেউই মানছে না।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন