বিজ্ঞাপন

‘বছরের ৩৬৫ দিনই এডিস মশা ডিম পাড়ে’

August 5, 2019 | 10:50 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের প্রধান কীটতত্ত্ববিধ ডা. ভুপেন্দর নাগপাল বলেছেন, এডিস মশা শুধুমাত্র বর্ষা মৌসুমেই ডিম পাড়ে এমন ধারণা ভুল। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, এই মশা বছরের ৩৬৫ দিনই ডিম পাড়ে। এক বছরেও এসব ডিম নষ্ট হয় না। আর পানি পেলে সেই ডিম থেকেই মশা জন্ম নেয়। তাই ভেক্টর কন্ট্রোল করা ছাড়া এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৫ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা আয়োজিত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের জন্য একটি ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. ভুপেন্দর নাগপাল বলেন, ‘মাত্র এক চা-চামচ পানিতেও এডিস মশা ডিম পাড়ে। যে ডিম পানি ছাড়াও প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে পারে। বাসা-বাড়িতে পানি জমিয়ে রাখার পাত্র, টায়ার, ছাদ, ঘরের ভেতরে থাকা আর্টিফিসিয়াল ঝরনাও ডিম পাড়ে এডিস মশা।’

এডিস মশা প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিষয়ে ডা. ভুপেন্দর নাগপাল বলেন, ‘এডিস মশা ঘরের কোণে, অন্ধকার আর্দ্রতাপূর্ণ জায়গায় যেমন পর্দার পেছনে, খাট ও টেবিল চেয়ারের নিচে থাকতে পছন্দ করে। এডিসের লার্ভা ধ্বংস করতে একগ্রাম টেমিফস (Temephos) ১০লিটার পানিতে খুব কার্যকরী। এডিসের লার্ভা ধ্বংসে এটি ব্যবহার করতে পারলে সেখানে অন্তত তিন সপ্তাহের ভেতর পুনরায় এডিস জন্মাবে না।’

বিজ্ঞাপন

এ সময় তিনি লার্ভা ধ্বংসের জন্য ব্যবহার করা টেমিফস (Temephos) পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় বলেও জানান।

তিনি বলেন, ‘যদি শহরের নির্মাণাধীন ভবনের পানি জমে থাকা স্থানগুলো ৪০ শতাংশ পর্যন্ত পরিষ্কার করা যায়, তাহলে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব কমানো সম্ভব।’

নির্মাণাধীন ভবনে একাধিক ব্রিডিং স্পট থাকে জানিয়ে করে ডা. নাগপাল বলেন, ‘সপ্তাহে যদি একদিন ডিজেল বা কেরোসিন তেল স্প্রে করা যায় ব্রিডিং স্পটে, তাহলে এডিস ধ্বংস করা সম্ভব। একেকটি বাড়িতে একইসঙ্গে অন্তত ১৫ থেকে ২০টি করে ব্রিডিং স্থান থাকে। আর এগুলো পরিষ্কার করতে একঘণ্টা সময় লাগার কথা।’

বিজ্ঞাপন

ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে জানানো হয়, ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সকল জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু কীট ও ওষুধ কেনার জন্য বিশেষ বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে।

প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা, ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুবিষয়ক কার্যক্রমের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এম এম আকতারুজ্জামান, সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন