February 7, 2018 | 12:26 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: দেশে ও দেশের বাইরে বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনীর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বের প্রায় সব দেশের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই সারা বিশ্বে যুদ্ধবিরোধী ও শান্তির পক্ষে কাজ করছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। এসব কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেনছেন, বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় দেশ আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসে সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজে ‘ডিএসসিএসসি ২০১৭-২০১৮ কোর্স’র গ্রাজুয়েটদের সনদ তুলে দেওয়ার পর বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীর ১৩৬, নৌবাহিনীর নৌবাহিনীর ৪০ ও বিমান বাহিনীর ২২ গ্রাজুয়েটসহ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বাহিনীর ২৬৬ অফিসারকে সনদ দেওয়া হয়।
গ্রাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সমর বিজ্ঞানের ওপর উচ্চতর জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ অর্পিত দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালনে এবং যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীর এই সদস্যদের আত্মপ্রত্যয়ী হতে শেখাবে।
আরও বড় পরিসরে নেতৃত্ব দিতে তারা নিজেদের প্রস্তুত রাখবেন বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের মূর্ত প্রতীক। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। আমাদের বৈদেশিক সম্পর্কের মূলনীতি হলো- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়। সেজন্য পৃথিবীর প্রায় সব দেশের সঙ্গেই আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দেশপ্রেমিক হিসাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষার সুমহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ-দুর্বিপাক মোকাবেলায়ও প্রশংসনীয় অবদান রেখে চলেছে।
দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে তাদের অবদানের পাশাপাশি অবকাঠামো নির্মাণ, জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ নির্মূল ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রেও ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, শুধু দেশেই নয়, বহির্বিশ্বেও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে প্রশংসা ও সুনাম অর্জন করেছেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অধীনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষা, গণতন্ত্রে উত্তরণ, সামাজিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থাপনাসহ পুনর্গঠন কার্যক্রমে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছেন। তাদের সাফল্যে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হয়েছে।
সারাবাংলা/এমএম