বিজ্ঞাপন

প্রিয়জন যখন স্মৃতি

August 9, 2019 | 7:29 am

মুহম্মদ জাফর ইকবাল

অ্যাডভোকেট সুপ্রিয় চক্রবর্তী কিংবা আমাদের রঞ্জুদা নিয়ে এরকম একটি লেখা লিখতে বসব কখনো ভাবিনি। বেশ কিছুদিন থেকে আমি দেশের বাইরে, রঞ্জুদা দেশে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছেন খবরটি ভালো লাগেনি। মানুষজন অসুস্থ হবে, এবং মাঝে মাঝে হাসপাতালে যাবে, চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে আবার ফিরে আসবে এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার হওয়ার কথা। কিন্তু এই দেশে থাকার কারণে হাসপাতাল শুনলেই বুকটা ধ্বক করে উঠে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন সেরকম একটা খবরের জন্য অপেক্ষা করছি তখন হঠাৎ করে খবর পেলাম রঞ্জুদা আর নেই। সেই থেকে মনটা বিষণ্ণ হয়ে আছে। দেশে থাকলে আপনজনদের সাথে কথা বলে মনটা একটুখানি হলেও হালকা করা যেত। এখানে থেকে তার উপায় নেই, ল্যাপটপে খবরগুলো পড়ে মনটা আরো ভার হয়ে থাকে।
সুপ্রিয় চক্রবর্তী এবং তার স্ত্রী সুলতানা কামালের সাথে আমাদের পরিচয় হয়েছে চুরানব্বই সালের দিকে যখন আমরা দেশে ফিরে এসে সিলেটে থিতু হবার চেষ্টা করছি। ছেলেমেয়েরা ছোট তাদের জন্য একটা স্কুল খুঁজে বেড়াচ্ছি, হঠাৎ জানতে পারলাম ‘আনন্দ নিকেতন’ নামে একটা নূতন স্কুল তৈরি হয়েছে। সেখানে গিয়ে সুলতানা কামাল আর সুপ্রিয় চক্রবর্তীর সাথে পরিচয় হলো। তাদেরও আমার ছেলের সমান একটি মেয়ে রয়েছে এবং সেই স্কুলে পড়ছে। আমাদের ছেলেমেয়েকেও সেই স্কুলে ভর্তি করানো হল। সুলতানা কামাল অনেক বড় মানবাধিকার কর্মী, কিন্তু তিনি সেই স্কুলটিকে দাঁড়া করানোর জন্য সেখানে পড়ান। আমার স্ত্রীও সেখানে পড়ানো শুরু করল, সুপ্রিয় চক্রবর্তী সুযোগ পেলেই তার গাড়ি করে আমার স্ত্রীকে স্কুলে পৌঁছে দিতেন, স্কুল থেকে বাসায় নামিয়ে দিতেন। তাদের মেয়ের সাথে আমাদের ছেলেমেয়ের বন্ধুত্ব হল, পরিবারের সাথে আমাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠতা হল।
দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থেকে দেশে এসে আমাদের থিতু হওয়ার ব্যাপারে এই দম্পতির একটা অনেক বড় ভূমিকা আছে। তারা সব সময় আমাদের পাশে থেকেছেন। সুপ্রিয় চক্রবর্তী সিলেটের মানুষ। তিনি আমাকে সিলেটের সংস্কৃতি জগতের সাথে পরিচিত করে তুললেন। যে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমাদের নিয়ে যেতেন। দেশে তখন জামাত-শিবিরের এক ধরনের নৈরাজ্য চলছে। আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের হলের নাম শহীদ জননী জাহানারা ইমাম হল দেওয়ার চেষ্টার কারণে একটা তুলকালাম কাণ্ড শুরু হয়ে গেল, আমাদের বাসায় বোমা পড়ল, সুপ্রিয় চক্রবর্তী এবং সুলতানা কামালের বাসায় বোমা পড়া একটা নিত্যনৈর্মেত্তিক ঘটনা হয়ে গেল। আমি মোটামুটি বিস্ময় নিয়ে আবিষ্কার করলাম এসব ব্যাপারকে তারা থোড়াই কেয়ার করেন! মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যুদ্ধাপরাধীদের বিপক্ষে দীর্ঘদিন থেকে সংগ্রাম করে আসছেন তাদের জন্যে এটি নূতন কিছু নয়। দু’জনে মিলে তারা আপাদমস্তক একটা মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি।
সুপ্রিয় চক্রবর্তীকে আমি এই সময় নূতন করে আবিষ্কার করলাম। আমাদের সবারই পরিচিত লোকজন আছে, তাদের সাথে কমবেশি ঘণিষ্ঠতা আছে। কারো কারো সাথে সম্পর্কটা ভদ্রতার কারো কারো সাথে সম্পর্কটা আন্তরিক। আমি আবিষ্কার কলাম সুপ্রিয় চক্রবর্তীর মাঝে বিচিত্র এক ধরনের আন্তরিকতা আছে যেটা খুঁজে পাওয়া কঠিন। এতো সহজ সরলভাবে কথা বলেন, কথাবার্তায় এমন এক ধরনের সারল্য এবং বুদ্ধিমত্তা আর রসবোধ আছে যে এই মানুষটিকে দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। দেখলেই মন ভালো যায় এরকম মানুষ পথিবীতে খুব কম আছে। দেশ থেকে বহুদূরে বসে আমি যখন এই লেখাটি লিখছি আমার শুধু মনে হচ্ছে কেন আমি তার সাথে বেশি সময় কাটালাম না, আরও বেশি কথা বললাম না, আড্ডা দিলাম না। একজন মানুষের জীবন তো আর অর্থ বিত্ত সাফল্য নয়, একজন মানুষের জীবন হচ্ছে তার সাথে অন্য মানুষের সম্পর্ক, অন্য মানুষের স্নেহ-মমতা-ভালোবাসা। সুপ্রিয় চক্রবর্তী- যাকে আমরা সবাই রঞ্জুদা বলে ডেকে এসেছি, আমার মত কতো মানুষের জীবনের মাঝে আনন্দের ছটা ছড়িয়ে তার জীবনকে অর্থপূর্ণ করেছেন কে তার হিসাব রেখেছে!
সুপ্রিয় চক্রবর্তী চরিত্রের বর্ণনা দেওয়ার জন্য তার সম্পর্কে ছোট একটা ঘটনা বলতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সময় বেতনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ ইনকাম ট্যাক্স হিসেবে কেটে নিত, আমার নিজের বিশেষ কিছু করার ছিল না। দেশে এসে আবিষ্কার করেছি আমাদের ইনকাম ট্যাক্সটি আমার নিজের দায়িত্ব, এসব ব্যাপারে আমি নেহায়েত আনাড়ি তাই একজন ইনকাম ট্যাক্স লয়ারের খোঁজ করতে থাকি, তখন প্রায় হঠাৎ করে জানতে পারলাম সুপ্রিয় চক্রবর্তী একজন ইনকাম ট্যাক্স লয়ার। পরিচিত আপনজনকে এরকম একটা কাজ দেওয়া যায় কীনা সেটা নিয়ে এক ধরনের সংকোচ ছিল। কিন্তু তিনি জানতে পেরে আনন্দে আমার কাজ করে দেওয়ার দায়িত্ব নিলেন। এর কিছুদিন পর আমি আমার ছেলেমেয়ে পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছি, ফিরে এসে সুপ্রিয় চক্রবর্তীর কাছে আমার ইনকাম ট্যাক্স নিয়ে খোঁজখবর নিতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম তিনি যে শুধু আমার কতো টাকা ইনকাম ট্যাক্স দিতে হবে বের করেছেন তা নয়, নিজের পকেট থেকে সেই ইনকাম ট্যাক্সটুকু দিয়েও দিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, কতো টাকা দিয়েছেন জানার চেষ্টা করার পরও তিনি হাত নেড়ে পুরো ব্যাপারটি উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকলেন, তুচ্ছ টাকা নিয়ে কথাবার্তায় তিনি সময় দিতে চান না। আমি নিশ্চিত সারা পৃথিবীতে সুপ্রিয় চক্রবর্তী একমাত্র ইনকাম ট্যাক্স লয়ার যে হিসাবপত্র করে ট্যাক্সের পরিমাণ বের করে নিজের পকেট থেকে সেটা দিয়ে দেয়! (অনেক কষ্ট করে সেই পরিমাণটা বের করে আমি তাকে পরিমাণটুকু ফেরৎ দিতে পেরেছিলাম!)
কেউ যেন মনে না করে যে মানুষটা রবীন্দ্র সঙ্গীতের জন্য পাগল, সংস্কৃতি চর্চা এবং ক্রিকেট ছাড়া আর কিছু বুঝে না সেই মানুষটা বুঝি প্রফেশনাল জীবনে মোটামুটি দায়সারা। মোটেও তা নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অ্যারেস্ট করে জেলে ঢোকানো শুরু হলো তখন আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ করেছিলাম, পত্রপত্রিকায় তার ছবিও ছাপা হয়েছিল। বিষয়টি নিশ্চয়ই সামরিক বাহিনীর লোকজনের পছন্দ হয়নি কারণ ইনকাম ট্যাক্স অফিসের কর্মকর্তারা আমাকে বলেছে তখন সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দারা এসে আমার সমস্ত কাগজপত্র খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছে কোনো একটা ফাঁকফোকর খুঁজে বের করতে পারে কিনা। কিন্তু সুপ্রিয় চক্রবর্তীর নিখুঁত কাজে কখনো কিছু খুঁজে পায়নি। শুধু সুপ্রিয় চক্রবর্তী নন, সেই সময়টিতে সুলতানা কামালও আমার খোঁজ খবর নিয়েছেন। তার মা বেগম সুফিয়া কামাল তখন মৃত্যু শয্যায় তার ভেতর তিনি আমাকে ফোন করে জানিয়ে রেখেছিলেন আমাকে অ্যারেস্ট করতে চলে এলে আমাকে কী করতে হবে। শেষ পর্যন্ত কেউ আমাকে অ্যারেস্ট করতে আসেনি, আমারও জেলখানার ভাত খেতে হয়নি!
সুপ্রিয় চক্রবর্তীর কথা বলতে হলে তার কোন কথাটা আগে বলব কোন কথাটা পরে বলব বুঝতে পারি না। তিনি ছিলেন একজন সংস্কৃতিক কর্মী এবং একজন ক্রীড়া সংগঠক সেটি সবাই জানে। আমরা যারা একটা অনুষ্ঠান উপভোগ করতে যাই তারা শুধু কিছু অপূর্ব গান শুনে মুগ্ধ হয়ে বাসায় ফিরে আসি। আমরা কখনো চিন্তাও করতে পারি না এর পেছনে আয়োজকদের কত শ্রম গিয়েছে। ভলান্টিয়ারদের কতো বিনিদ্র রজনী, শিল্পীদের কত মান-অভিমান, আমলাদের কতো রকম হম্বিতম্বি শেষে একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা হয়। কতো বিলের টাকা নিজের পকেট থেকে দিতে হয় সেটি শুধু আয়োজকরাই জানে। সুপ্রিয় চক্রবর্তী হাসিমুখে সেগুলো করে এসেছেন। সাধারণ মানুষের জন্য তার ভেতরে এক ধরনের গভীর ভালোবাসা ছিল। তাদের বাসা ছিল আমার দেখা একমাত্র বাসা যেখানে কোন মেয়েটি গান শিখতে এসেছে এবং কোন মেয়েটি বাসার গৃহকর্মী আলাদা করা যেতো না, কারণ দুজনই সমান উৎসাহে রিহার্সাল করতো। লেখাপড়া নিয়েও সুপ্রিয় চক্রবর্তীর আগ্রহ ছিল। সিলেটের একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক কাজ করেছেন। আমি নিজে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্রিয়ায় ছিলাম বলে মাঝে মাঝেই কোনো একটা বিষয় নিয়ে আমার সাথে কথা বলে যেতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাশ নিয়েছেন। সদা হাস্যমুখী কৌতুক প্রিয় এই মানুষটি নিশ্চয়ই ক্লাশে ছাত্রছাত্রীদের মুগ্ধ করে রাখতেন। সংস্কৃতি অন্ত এই মানুষটি ছিলেন বিজ্ঞানমনস্ক তাই তার দেহটি বিজ্ঞান গবেষণার জন্য কুমুদিনী হাসপাতালকে দান করে গিয়েছেন। তাকে কীভাবে পুরোপুরি ব্যাখা করা যায় আমি জানি না, এক কথায় বলা যায় তিনি ছিলেন আপাদমস্তক একজন বাঙালি।
সুপ্রিয় চক্রবর্তী ছিলেন সিলেটের মানুষ। কিন্তু শেষের দিকে তিনি সিলেটে বেশি থাকতেন না। আমার স্ত্রী সেটা নিয়ে তাকে ঠাট্টা করতো, দেখা হলে বলতো, “আমরা বাইরের মানুষ এসে এখানে থেকে গেলাম আর আপনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন।” সুপ্রিয় চক্রবর্তী একটুখানি অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে শিশুর মত হাসতেন। মাঝে মাঝে তার সাথে এয়ারপোর্টে দেখা হতো, এক প্লেনে যাচ্ছি কিংবা এসেছি। কতো কিছু নিয়ে গল্প হতো, এখন সব শুধু স্মৃতি। রক্তমাংসের মানুষ হঠাৎ করে একদিন শুধু স্মৃতি হয়ে যায়, কী আশ্চর্য একটি ব্যাপার!
সুপ্রিয় চক্রবর্তী চলে যাবার পর সংবাদ মাধ্যমে একটা খবর পড়ে মনে কষ্ট পেয়েছি। সুলতানা কামাল নাকি সুপ্রিয় চক্রবর্তীকে কলকাতা নিয়ে চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলেন। সুলতানা কামালকে ভারতীয় ভিসা দেওয়া হয় না বলে তারা যেতে পারেননি। সুলতানা কামালকে ভারতীয় ভিসা দেওয়া হয় না সুন্দরবন রক্ষার জন্য রামপালের কয়লা দিয়ে চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধিতা করার জন্য। আমার দেশের একটা ঐতিহ্যকে রক্ষা করার জন্য আমি তো আন্দোলন সংগ্রাম করতেই পারি, সেই জন্য ভিন্ন একটা দেশ আমার উপর বাধা নিষেধ দিবে সেটি কোন ধরনের যুক্তি? পৃথিবীর অন্য সব দেশের হাই কমিশন- অ্যাম্বাসি এক ধরনের হলেও ভারতীয় হাই কমিশন একটু অন্য রকম হওয়ার কথা। পশ্চিম বাংলার সাথে আমাদের এক ধরণের সাংস্কৃতিক বন্ধন আছে। তারা কি এই দেশের সুলতানা কামালদের কথা জানে না?
রামপাল শক্তি কেন্দ্রের বিরোধিতা আর মৌলবাদীদের ভারত বিদ্বেষ যে এক ব্যাপার নয়- সেটি বোঝা কী এতোই কঠিন? সরকার রামপালের পক্ষে যত কথাই বলুক, কিছু কিছু ব্যাপার পুরোপুরি কমন সেন্স, যেগুলো বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। আমাদের সুন্দরবনের নদীগুলো একেবারে মাকড়সার জালের মত একটার সাথে আরেকটা জড়িয়ে আছে, উজানে কোথাও যদি নদীর মুখে কিছু ঘটে দক্ষিণে পুরো নদী নেটওয়ার্কে তার প্রভাব পড়ে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হওয়ার পর তার জ্বালানি হিসেবে যখন বার্জ বোঝাই করে এই নদী দিয়ে কয়লা আনা হবে, তখন যদি কোনো একটি বার্জ ডুবে যায়, তাহলে সেখানকার সংবেদনশীল স্পর্শকাতর সুন্দরবন এলকাটিতে কী তার একটা বিরূপ প্রভাব পড়বে না? যদি কোনো কিছু নাও ডুবে, তারপরও যখন একটার পর একটা বার্জ এই নদীগুলো দিয়ে উজানে আসবে তার পরিত্যক্ত ডিজেল, নদী তটে ঢেউয়ের আঘাত, শব্দদূষণ সেগুলো কী একেবারে তুচ্ছ বিষয়? তাহলে কেউ যদি সুন্দরবনকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে সেটা রক্ষার জন্য আন্দোলন করেন তাহলে তাকে কী দোষ দেওয়া যায়? নিজের দেশকে ভালোবাসা, অন্য দেশের বিরোধিতা করা নয়, এই সহজ সত্যটা ভারত সরকার জানে না দেখে অবাক হয়ে যাই। একটা পুরো রাষ্ট্র প্রতিহিংসা নিয়ে একজন মানুষের উপর প্রতিশোধ নিতে পারে সেটি বিস্ময়ের ব্যাপার।
সুপ্রিয় চক্রবর্তীকে কোলকাতা নিয়ে চিকিৎসা করাতে পারলে তিনি সত্যি সত্যি সুস্থ হয়ে যেতেন কিনা আমরা জানি না। সেটি নিয়ে বুকের ভেতর একটুখানি ক্ষোভ থেকে যাবে। তবে তিনি এর সবকিছুর উর্দ্ধে চলে গেছেন। আমাদের বুকে এখন একটি স্মৃতি হয়ে থকে যাবেন।
সেই স্মৃতিটা অসম্ভব মধুর একটি স্মৃতি সেই কথাটি তাকে আর বলতে পারব না।
লেখক: মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/আরএসও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন