বিজ্ঞাপন

রায় অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

February 7, 2018 | 3:46 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা রায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

তিনি বলেন, ‘তিনি সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী। জেল কোড অনুযায়ী যেভাবে তাকে রাখার নিয়ম সেভাবেই রাখা হবে।’ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি নাশকতা করতে চায়, কেউ যদি ভাঙচুর করতে চায়, কেউ যদি ২০১৩-১৪ সালের মতো জ্বালাও-পোড়াও করতে চায়, বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়, মানুষকে জিম্মি করতে চায়, রাস্তাঘাট বন্ধ করতে চায় আমরা অবশ্যই তা প্রতিহত করব। জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এটা দক্ষতার সঙ্গে করতে পারবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, এ ধরনের কোনো কিছুই হবে না। জনগণ অতীতেও এ ধরনের জ্বালাও-পোড়াও ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে, সামনেও করবে। আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে যেসকল দপ্তর রয়েছে তারাও যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত।’

‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিন্তু সবসময় তৈরি থাকে, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য। এদেশের জনগণ কোনদিনই বিশৃঙ্খলা,সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও পছন্দ করে না। আপনারা ২০১৩-১৪ তে দেখেছেন, জ্বালাও-পোড়াও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল, জঙ্গি উত্থানের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, আমাদের দেশের জনগণ সেগুলো প্রতিহত করেছিল। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত দক্ষ, অত্যন্ত পেশাদার। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তারা সক্ষম।’

ধরপাকড় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী প্রস্তুতি নিয়েছে, কেউ যাতে কোন ধরনের লাঠিসোটা, বিস্ফোরক নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারে। আপনার ৩০ তারিখের ঘটনা দেখেছেন। ওইদিন বিএনপির চেয়ারপাসনের গাড়ি ধীরে ধীরে যাচ্ছিল। ওইসময় বিএনপির চেয়ারপারসনের গাড়িবহর থেকেই পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। এ হামলা রাজশাহীতে পিটিয়ে পুলিশ হত্যার দৃশ্যটা মনে করিয়ে দেয়।’

বিজ্ঞাপন

‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতা ও ধৈর্য্যের সঙ্গে সে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। ওইদিনের ঘটনায় আমাদের কাছে ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। এ সব ভিডিও ফুটেজ দেখে আমরা শনাক্ত করছি। যে যেখানে অবস্থান করছে সেখান থেকে ধরে আনা হচ্ছে। এগুলো দেখলেই বোঝা যায় এটা পূর্বপরিকল্পিত প্রচেষ্টা’ বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্য উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, অনুপ্রবেশকারী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। শত শত মানুষ। এদের একজন একজন করে আরা আইডেন্টিফাই করছি, ধরছি। এদের মধ্যে বেশকিছু সংখ্যক আমরা ধরে এনেছি। এদের একজন মামুন খান। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক। রুহল আমিন। ৯৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। হারুনুর রশীদ। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। ইশতিয়াক আহমেদ নাছির। তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি। এদের কাউকে চাদঁপুর, কাউকে নোয়াখালী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা ছাড়াও যারা অর্থদাতা, পরামর্শদাতা ছিল, নির্দেশদাতা ছিল তাদেরও নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে।’

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘হাবিব-উন-নবী সোহেলকে আমাদের কোনো নিরাপত্তা বাহিনী গ্রেফতার করেনি। হতে পারে তিনি কোথাও আত্মগোপন করেছেন। এটা তার নতুন কোনো কৌশল হতে পারে।’

সারাবাংলা/এইচএ/একে

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন