বিজ্ঞাপন

খালেদা জিয়ার জন্মদিনে আন্দোলনের শপথ বিএনপির

August 16, 2019 | 1:27 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: খালেদা জিয়ার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে দলের পক্ষে আয়োজিত দোয়া-মাহফিল থেকে আন্দোলনের শপথ নিয়েছে বিএনপি।

বিজ্ঞাপন

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশনেত্রী অত্যন্ত অসুস্থ। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা এমন কিছু করতে পারছি না, যার মধ্য দিয়ে আমরা তাকে বের করে নিয়ে আসতে পারব। আইন-আদালত আমরা জেনে গেছি- তাদের ভূমিকা কী, তারা কী করছে, না করছে। আমাদেরকে সুসংগঠিত হতে হবে, আন্দোলনের মধ্য দিয়েই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে— এর কোনো বিকল্প নেই।’

‘আজকের এই দিনে তার দীর্ঘায়ু কামনা করব, নিজেদেরকে সংগঠিত করে তার মুক্তির আন্দোলন করব, এই শপথ আমরা নিই। এটাই হোকে বেগম খালেদা জিয়ার ৭৫তম জন্মদিনে আমাদের শপথ’—বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

খালেদা জিয়ার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীর দিন ১৫ আগস্ট ঘটা করে জন্মদিন পালন করে আসছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ নিয়ে রাজনীতিতে ব্যাপক সমালোচনা বিদ্যমান ছিল।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সাল থেকে জন্মদিন পালন বাদ দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন। গত বছর কারাবন্দি হওয়ার পর বিএনপিও খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করেনি। এবার তার ৭৫তম জন্মদিনে দলের পক্ষ থেকে কোনো আয়োজন ছিল না।

তবে জাতীয় শোক দিবসের পরের দিন শুক্রবার (১৬ আগস্ট) খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি।

বিজ্ঞাপন

ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য খালেদা জিয়া একটি একটি করে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। ২০০৫-০৬ এর দিকে খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় তখন বাংলাদেশকে বলা হয়েছিল উদীয়মান ব্যাঘ্র । বলা হয়েছিল যে, আগামী ১০ বছরে যে ১১টি দেশ মধ্যমআয়ের দেশে পরিণত হবে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।’

উন্নয়নে ভিত্তি খালেদা জিয়া তৈরি করে দিয়ে গেছেন দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগের নেতারা অনেক কথা বলেন। কিন্তু প্রতিটি উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন প্রথমে করেছেন জিয়াউর রহমান, তারপর সেটাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।’

‘আজকে সেই নেত্রীকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। কারণ, তিনি যদি বাইরে থাকতেন, তাহলে বাংলাদেশকে যে পরনির্ভরশীল করে ফেলা হচ্ছে, অর্থনীতিকে যে ফোঁকলা করে ফেলা হচ্ছে, এটা সম্ভব হতো না’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘কোরবানির পরে যে চামড়া দিয়ে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সেটিকে ধ্বংস করে দিয়েছে এই সরকার। এক সময় পাটশিল্প ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। আর আজ ধ্বংস করা হচ্ছে চামড়াশিল্পকে। বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল করার সুদূর প্রসারি যে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত, সেই কাজ বহুদূর এগিয়ে নিয়েছে এই সরকার।’

বিজ্ঞাপন

মিলাদ মাহফিলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, শওকত মাহমুদ, ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দীন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, ইমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. ওবায়দুল ইসলাম, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন সুলতানা, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, মীর সরফত আলী সপু, শফিউল বারী বাবু, আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, নিপুণ রায় প্রমুখ।

আরও পড়ুন: বিতর্ক এড়াতে চেয়ারপারসনের জন্মদিনের তারিখ পরিবর্তন বিএনপির

সারাবাংলা/এজেড/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন