বিজ্ঞাপন

অপরাধী কখনোই নিজের মুখে দোষ স্বীকার করে না : কাদের

February 7, 2018 | 6:53 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের রায় প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য দিয়েছেন পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে বলেন, অপরাধী নিজের মুখে কখনো অপরাধ স্বীকার করে না। আদালত তার বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে রায় দেবেন। মামলার রায় কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়- অপরাধের বিরুদ্ধে। এটাই আইনি প্রক্রিয়া, আইনের মাধ্যমেই তাকে সমাধান খুঁজতে হবে। কিন্তু এই মামলার রায়কে কেন্দ্র করে যদি নৈরাজ্য ও নাশকতার অপতৎপরতা চালানো হলে আইন-প্রয়োগকারী সংস্থা তার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। জননিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষাকরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সদস্যদের দায়িত্ব।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি আমাদের দলের নেত্রী শেখ হাসিনা বারবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। ২০০১ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নেওয়ার চার মাসের মাথায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৪টি মামলা দায়ের করেন। ২০০১-৬ সালে হত্যাসহ ১১টি মামলা দায়ের করেছে। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরে ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করে মামলাগুলো যথাযথভাবে আদালতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। প্রতিটা মামলা ‘অ্যাবিউজ অব প্রসেস’ উল্লেখ করে দেশের উচ্চ-আদালত খারিজ করে দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আইনের শাসন ও প্রয়োগকারী সংস্থাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু বিএনপি বিচার ব্যবস্থাকে আজ ক্ষমতায় যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে- উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ১০ বছর পর এ মামলার রায়ের দিন ঠিক করেছে আদালত। ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী এ ধরনের মামলা ৩৬০ কর্ম দিবসের মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে। আমরা দেখেছি এই মামলার বিচারিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে খালেদা জিয়া দিনের পর দিন আদালতকে অসম্মান দেখিয়েছেন- আদালতে অনুপস্থিত থেকেছেন এবং অপ্রাসঙ্গিক বিভিন্ন ইস্যুতে উচ্চ আদালতে গিয়ে প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রাখেন। দেশের সংবিধান, ফৌজদারী কার্যবিধি ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী আত্মপক্ষ সমর্থনের সব সুযোগ খালেদা জিয়া এবং অন্যান্য আসামিরা পেয়েছেন।

শুরু থেকেই আমরা দেখছি, খালেদা জিয়া ও বিএনপি নেতারা দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন-কানুনের প্রতি অবজ্ঞা ও অসম্মান প্রদর্শন করছেন। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসনের দুর্নীতির দায়, দলের নেতাদের অপরাধের দায় মিথ্যাচারের মাধ্যমে কাদের ওপর চাপাতে চাচ্ছেন- এতিমদের ওপর না কি দেশের জনগণের ওপর, প্রশ্ন রাখেন কাদের।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একে/এটি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন