বিজ্ঞাপন

‘পঁচাত্তরের ঘটনায় আ. লীগের একটি অংশ জড়িত’

August 19, 2019 | 4:40 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পঁচাত্তরে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগের একটি অংশ জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৯ আগস্ট) শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন মির্জা ফখরুল।

১৫ আগস্টের ঘটনায় জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল— প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দীর্ঘকাল ধরে ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করেছে। এটা ধ্রুব তারার মতো সত্য যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এ দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, মুক্তি দিয়েছিলেন। তিনি কোনো মতেই কোনো হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন না।‘

বিজ্ঞাপন

‘জড়িত ছিলেন আওয়ামী লীগের লোকেরা, যারা পরবর্তী সময়ে সরকার গঠন করেছেন এবং পার্লামেন্টে গেছেন, পার্লামেন্ট গঠন করেছেন। তারাই এর সঙ্গে জড়িত’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ভারতের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সফরে বিএনপি কী প্রত্যাশা করছে— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা খুব বেশি প্রত্যাশা করছি না। কারণ গত ১০/১২ বছরে শুনলাম এই আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক সুউচ্চ পর্যায়ে আছে, খুব ভালো পর্যায়ে আছে। এখন পর্যন্ত আমাদের তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আমরা পাইনি, সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয়নি, আমাদের বাণিজ্যে যে ঘাটতি রয়েছে, ইমব্যালেন্স রয়েছে সেটাকে পূরণ করার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমাদের কোনো সমস্যারই সমাধান হয়নি।’

ত্রিপুরায় বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের কাছে ভারতের জমি চাওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পত্রিকায় খবর এসেছে। এই খবরে আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত এটাতে রাজি হয়নি। রাজি হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।‘

বিজ্ঞাপন

চামড়া সংকটে বিএনপি জড়িত— শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকার তো দেশ চালাতে পারছে না, তারা ব্যর্থ হয়েছে। একটা অনির্বাচিত সরকার, জনগণের ম্যান্ডেট তাদের প্রতি নাই। পার্লামেন্ট বলুন আর সরকার বলুন এখানে জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব নাই। এই ধরনের অর্বাচীনের মতো কথা-বার্তা বলা ছাড়া তাদের তো কিছু করার নাই।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে, দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। রাজনৈতিক দলগুলোকে পুরোপুরি বিরাজনীতিকরণের মধ্যে নিয়ে যাওয়া, রাজনীতি দূর করে দিয়ে তারা এখানে প্রভুত্ব করতে চায়। তারা একক দল নিয়ে এই রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চায়।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরফত আলী সপু, আবদুল আউয়াল খান, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, তাবিথ আউয়াল, যুব দলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, মোরতাজুল করীম বাদরু, এসএম জাহাঙ্গীর, মহানগর বিএনপির বজলুল বাসিত আনজু, আহসানউল্লাহ হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, গোলাম সারোয়ার, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাদরেজ জামান, ইয়াসীন আলী, ফখরুল হাসান রবিন, এসএম জিলানী, নজরুল ইসলাম, রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজসহ অনেকে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/এটি

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন