বিজ্ঞাপন

রানা প্লাজা ধস: হত্যা মামলার ৪১ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য হয়নি

August 21, 2019 | 3:35 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ভবন নির্মাণে অবহেলা ও ত্রুটিজনিত হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২০ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২১ আগস্ট) মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এ মামলার তিন আসামির পক্ষে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। এজন্য ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন রাষ্ট্র পক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নতুন করে এ তারিখ ঠিক করেন।

ঢাকা জেলা ও দায়রা জজের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল সমদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘বুধবার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। রাষ্ট্রপক্ষও প্রস্তুত ছিল। কিন্তু এ মামলার সাক্ষী আসলেও কয়েকজন আসামির হাইকোর্ট স্থগিত আদেশ থাকায় আদালত সাক্ষ্য নিতে পারছেননা। এজন্য রাষ্ট্রপক্ষকে সাক্ষ্য গ্রহণ পেছানোর জন্য আমরা আবেদন জানাই।’

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে নয়তলা ভবন রানা প্লাজা ধসে পড়লে ১ হাজার ১৩৬ জন মারা যান। আহত ও পঙ্গু হন প্রায় দুই হাজার শ্রমিক। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দুই হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সাভার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ ভবন নির্মাণে অবহেলা ও ত্রুটিজনিত হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় সাক্ষী করা হয় ৫৯৪ জনকে।

মামলার অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা, রানার বাবা আব্দুল খালেক, রানার মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কমিশনার হাজি মোহাম্মদ আলী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক (আর্কিটেকচার ডিসিপ্লিন) এ টি এম মাসুদ রেজা, প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসাইন, সাভার পৌরসভার মেয়র মো. রেফাতউল্লাহ, সাভার পৌরসভার সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান রাসেলসহ অনেকেই।

২০১৬ সালের ১৮ জুলাই রানা প্লাজার ঘটনায় হত্যা মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এসএম কুদ্দুস জামান। ৪১ জনের মধ্যে দুই জন মারা গেছেন, বাকিদের মধ্যে ৩২ জন জামিনে, সাতজন পলাতক। কেবল রানা প্লাজার মালিক রানা কারাগারে রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/জেএএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন