বিজ্ঞাপন

দুদকের মামলায় গোয়ালন্দ থানার সাবেক ওসি ও তার স্ত্রীর কারাদণ্ড

August 21, 2019 | 5:52 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের আলাদা আলাদা দুই মামলায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও তার স্ত্রীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ আসামিদের উপস্থিততে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের এক মামলায় সাইফুল ইসলামকে সাত বছর ও তার স্ত্রী জাকিয়া ইসলাম অনুকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে সাইফুল ইসলামকে তিন লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও একবছর কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রীকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

সম্পদ গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের আরেক মামলায় সাইফুল ইসলামকে দুদক কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় দুই বছর কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং দুদক কমিশন আইনের ২৭(১) ধারায় পাঁচ বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও একবছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

পৃথক তিন ধারায় সাজা পাওয়া সাইফুলের দণ্ড একসঙ্গে কার্যকর হবে। সে হিসাবে সাইফুল ইসলামকে সাত বছর কারাভোগ করতে হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাইফুল ইসলামকে ও তার স্ত্রী জাকিয়া ইসলাম অনুকে আসামি করে ২০১০ সালের ২২ জুন রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোজাহার আলী সরদার।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রীকে দুদক সম্পদের বিবরণ দাখিলের জন্য নোটিশ জারি করে। ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সাইফুল ইসলাম নিজের এবং স্ত্রী ও পোষ্যদের নামে অর্জিত মোট ৪২ লাখ ৫৫ হাজার ২১ টাকার সম্পদ গোপন করে কমিশনে তথ্য দেন। আর জাকিয়া ইসলাম ৩১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার তথ্য কমিশনে জমা দেন। ২ কোটি ৫০ লাখ ৫৭ হাজার ৭৮৬ টাকার যথার্থ উৎস না থাকায় এবং বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ নিজের দখলে রাখার অভিযোগ করা হয় তার বিরুদ্ধে।

বিজ্ঞাপন

২৬ লাখ ৯০ হাজার ৯২৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেও কমিশনকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দেওয়ার অভিযোগে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অন্য মামলাটি দায়ের করেন মোজাহার আলী সরদার।

এ দুই মামলায় ২০১১ সালের ৪ আগস্ট আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন