বিজ্ঞাপন

হস্তশিল্পই পারে সারাদেশের কর্মসংস্থান বাড়াতে: গোলাম আহসান

August 22, 2019 | 3:17 pm

দেশীয় হস্তশিল্পজাত নানা পণ্য রফতানিকারকদের প্রতিষ্ঠান সান ট্রেড লিমিটেড। এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম আহসান। ১৯৯৩ সাল থেকে বিশ্বের নানা প্রান্তে তিনি রফতানি করছেন দেশীয় হস্তশিল্পের নানা পণ্য। পাট, খেজুর, তাল, হোগলাপাতা, বেত, সি-গ্রাসসহ নানারকম দেশীয় কাঁচামাল দিয়ে বানানো পণ্য রফতানি করেন তিনি। ফ্রাংকফুর্ট ও হংকং-এ আয়োজিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় হস্তশিল্প মেলাগুলোয় দেশীয় হস্তশিল্প নিয়ে নিয়মিত হাজির হন তিনি।

বিজ্ঞাপন

রফতানি শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ছয়বার কমার্শিয়ালি ইমপর্ট্যান্ট পারসন বা সিআইপির মর্যাদা দিয়েছে। ১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো তিনি এই মর্যাদা পান। এরপর ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা সিআইপির মর্যাদা পান তিনি। এছাড়াও দেশীয় হস্তশিল্প উৎপাদন ও রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাক্রাফটের সভাপতি ছিলেন ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত।

সারাবাংলার সঙ্গে কথোপকথনে উঠে এলো তার ব্যবসা, দেশীয় হস্তশিল্পের ভবিষ্যৎ, নারীর কর্মসংস্থানসহ নানা বিষয়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, রাজনীন ফারজানা। 

সারাবাংলা: হস্তশিল্পজাত পণ্য রফতানির শুরু নিয়ে কিছু বলুন।

বিজ্ঞাপন

গোলাম আহসান: ১৯৯৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে সান ট্রেড লিমিটেড যাত্রা শুরুর আগে থেকেই আমি হস্তশিল্পের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। কিন্তু রফতানি করার আইডিয়া পাই জার্মানির ফ্রাংকফুর্টে একটা মেলায় গিয়ে। সেখানে দেখেছিলাম এসব পণ্যের দারুণ চাহিদা। সেই থেকেই উদ্যোগী হই বাংলাদেশি হস্তশিল্প নিয়ে কিছু করতে।

সারাবাংলা: কী কী ধরণের পণ্য রফতানি করেন? পণ্যগুলো কোথা থেকে সংগ্রহ করেন?

গোলাম আহসান: পাট, খেজুরপাতা, তালপাতা, সিগ্রাস, হোগলা পাতা, বেত দিয়ে আমাদের তৈরি গৃহস্থালী পণ্যই আমরা রফতানি করে থাকি। সত্তর শতাংশ পণ্য আমরা উৎপাদন করি আর বাকি তিরিশ শতাংশ বাইরে থেকে কিনে নেই। বগুড়া ও নীলফামারীর নিজস্ব ফ্যাক্টরি আছে আমাদের। অন্যান্য জেলার মধ্যে যশোর থেকে খেজুর পাতার তৈরি জিনিস, বগুড়া আর নীলফামারী থেকে তালপাতার জিনিস আর নীলফামারী থেকে পাটের সেলাই করা জিনিস আনি আমরা। বরিশাল আর নোয়াখালি থেকে হোগলাপাতা এনে পণ্য বানানো হয় ঢাকায়। আমার ফ্যাক্টরিতে নারী কর্মীরাই মূলত এসব পণ্য তৈরি করে।

বিজ্ঞাপন

দেশীয় হস্তশিল্প

সারাবাংলা: বিশেষ করে নারী কর্মীদের নিয়োগের কী বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য আছে?

গোলাম আহসান: আমাদের ফ্যাক্টরিগুলোতে নব্বইভাগই নারী কর্মী। তাদের কাজের মানও ভালো। এতে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের কর্মসংস্থান হচ্ছে। বগুড়া আর নীলফামারীর যে এলাকায় আমাদের ফ্যাক্টরি সেখানকার নারীরা আগে দেখা যেত অর্থনৈতিক কাজ তেমন একটা করত না। অল্প কিছু কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু এখন দেখা যায় তারা ঘরের কাজের পাশাপাশি ফ্যাক্টরিতে এসে হস্তশিল্পের কাজ করে উপার্জন করছে। আমার এখানে খেজুরপাতা, তালপাতা, পাট ইত্যাদির কাজ পুরোটাই মেয়েরা করে। আর হোগলা পাতার কিছু কাজ ছেলেরা করে। আমি মনে করি এর মাধ্যমে নারীরা গ্রামীণ অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

সারাবাংলা: কয়টি দেশে আপনার পণ্য রফতানি করেন?

বিজ্ঞাপন

গোলাম আহসান: আমরা যেসব দেশে পণ্য রফতানি করি সেখানে আমাদের দেশীয় পণ্যের চাহিদা এবং গ্রহণযোগ্যতা চমৎকার। আমরা যখন বিভিন্ন মেলায় অংশ নেই, তখন মানুষ আগ্রহ দেখায়। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই রফতানি করি। পূর্ব এশিয়া কোরিয়া, জাপান আমাদের বড় ক্রেতা। অন্যদিকে ইউরোপের প্রায় সব দেশ- ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি, হাঙ্গেরি, ইতালি, পর্তুগাল ইত্যাদি দেশে আমাদের পণ্য যায়। তাছাড়া আমেরিকাও আমাদের অনেক বড় ক্রেতা।

দেশীয় হস্তশিল্প

সারাবাংলা: পাট, ঘাস এবং বেতের তৈরি পণ্য বিদেশে রফতানির ধারণা পেয়েছিলেন কীভাবে?

গোলাম আহসান: আগেই বলেছি এই ধরণের হস্তশিল্পজাত পণ্য যে রফতানি করা যায় তা জেনেছিলাম জার্মানির ফ্রাংকফুর্টের এক মেলায়। মেলায় ক্রেতারা এসে নিজেরা দেখে পণ্য অর্ডার করেন। সেই থেকেই আইডিয়া পাই এমন কিছু করার। আমি যখন শুরু করি তখন ভিয়েতনাম আর চায়নাই মূলত এই বাজার নিয়ন্ত্রণ করত। তাদের দেখে আমারও মনে হয়েছিল, আমিও শুরু করতে পারি। সেই চিন্তা থেকেই ১৯৯৩ সালে শুরু করি সান ট্রেড লিমিটেড।

সারাবাংলা: ব্যবসা যখন শুরু করেছিলেন তখন যে লক্ষ্য ছিল, এই ২৬ বছরে তার কতটা পূরণ করতে পেরেছেন?

গোলাম আহসান: আমার মনে হয়, ব্যবসা শুরুর ২৬ বছর পর আমি আমার লক্ষের পঞ্চাশ থেকে ষাট শতাংশ অর্জন করতে পেরেছি। এতবছর মার্কেটিং করার পর উদ্বেগজনকভাবে দেখছি আমাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজারের অভাব না থাকলেও কাজ করার মত দক্ষ কর্মী কমে গেছে। উৎপাদন খরচ বেড়েছে। যে কারণে চায়না ও ভিয়েতনামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দামে পোষানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন চেষ্টা করছি খরচ কমিয়ে উৎপাদন বাড়াতে।

আমি মনে করি আমাদের দেশে আরও অন্তত দুই লাখ লোক নানারকম হস্তশিল্পে কাজ করতে পারে। হস্তশিল্পে চায়না, ভিয়েতনাম এসব আমাদের প্রতিযোগী দেশ। ভিয়েতনামের কর্মীদের দক্ষতা বেশি হলেও আমাদের দেশের পণ্য তুলনামূলক সস্তা।

দেশীয় হস্তশিল্প

সারাবাংলা: ব্যবসার প্রচারণার জন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার করেন?

গোলাম আহসান: মূলত দেশ-বিদেশে বিভিন্ন মেলা অংশগ্রহণের মাধ্যমেই আমরা আমাদের পণ্যের প্রচারণা চালাই। আমেরিকাতে আমরা স্থানীয় ক্রেতাদের মাধ্যমে কিছু বিজ্ঞাপন করি অবশ্য।

সারাবাংলা: আপনারা কী স্থানীয় বাজারে পণ্য বিক্রি করেন? কোনো শো-রুম আছে?
গোলাম আহসান: না, দেশে আমাদের কোনো শো-রুম নাই। আমি একশো ভাগ খাঁটি রফতানিকারক।

সারাবাংলা: আপনার প্রতিষ্ঠানের বিশেষত্ব কী?

গোলাম আহসান: আমাদের প্রতিযোগীদের থেকে এগিয়ে থাকার জন্য আমরা সবসময় নতুন নতুন ডিজাইন আনতে চেষ্টা করি। প্রতি ছয় মাসে আমাদের পণ্যের ডিজাইন, রঙ এবং আকার বদলে যায়। নতুন নতুন পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমরা বায়ারদের মন্তব্যকে গুরুত্ব দেই। নিজেরাও সবসময় নতুন নতুন ডিজাইন খুঁজতে থাকি।

সারাবাংলা: তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য কোনো পরামর্শ।

গোলাম আহসান: আমি চাই হস্তশিল্পের ক্ষেত্রে আরও নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হোক। আমরা যারা এগিয়ে আছি, তারা সংখ্যায় হয়তো পাঁচ থেকে ছয়জন। নতুনদেরকে প্রেডাকশন মেথড কী, কোথায় প্রোডাকশন হতে পারে সেসব বুঝতে হবে। আবার রফতানি করতেও কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি যা হাতে কলমে শিখতে হয়। তরুণ উদ্যোক্তাদের এসব বিষয়ে সাহায্যের জন্য আমি সবসময় প্রস্তুত।

দেশীয় হস্তশিল্প

সারাবাংলা: সামনেই অনুষ্ঠিত হবে বাংলাক্রাফটের নির্বাচন। এই নির্বাচনে একটি প্যানেল থেকে আপনিও অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচনে বিজয়ী হলে, আপনার প্যানেলের পরিকল্পনা কী?

গোলাম আহসান: আমি চাই বেশি সংখ্যক শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তা হতে এগিয়ে আসুক। দুই বছরে অন্তত দশ থেকে বিশ জন শিক্ষিত তরুণ আসলেও আমি মনে করি অনেকটা এগিয়ে যাবো আমরা।

সারাবাংলা: বাংলাদেশ একসময় নানারকম হস্তশিল্পে সমৃদ্ধ ছিল। হাতে সেলাই, কাঁসার কাজ, মৃৎশিল্প এসব এখন দেখাই যায় না বলতে গেলে। এগুলোকে আবার ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আপনার কী কোন পরিকল্পনা আছে?

গোলাম আহসান: নিশ্চয় আছে। তবে, যেকোনো পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রেই প্রথম জিজ্ঞাসা আসে সেসবের ক্রেতা আছে কিনা। আমরা যখন শুরু করি তখনও অনেক মেয়ে দ্বিধায় ভুগতো তাদের পণ্যগুলো বিক্রি হবে কিনা তাই নিয়ে। এখন তারা বিশ্বাস করে যে তাদের বানানো পণ্যের বাজার আছে।
সেলাইয়ের কাজে আরও উন্নয়ন সম্ভব, যদি সেই বিশ্বাসটা করানো যায়। ইউরোপ আমেরিকার বাজারে কুইল্ট নামক সেলাইয়ের বেশ চাহিদা আছে। এটা আমাদের দেশে এখন আর দেখা যায় না। এটা ফিরিয়ে আনা গেলে বাজার পাওয়া সম্ভব।

দেশীয় হস্তশিল্প

সারাবাংলা: মৃৎশিল্প বা টেরাকোটা হারিয়ে যাওয়ার পথে। এটাকে কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়?

গোলাম আহসান: আমি খুব করে চাই এটা (মৃৎশিল্প) ফিরে আসুক। কারণ, বহিঃর্বিশ্বে এটার বাজার আছে। বিশেষত বড় বড় ফুলদানির চাহিদা অনেক বেশি। আমি চাইলেও পারছি না। কারণ, টেরাকোটার পণ্য বানাতে নির্দিষ্ট তাপমাত্রার আগুন প্রয়োজন। না হলে রফতানিযোগ্য পণ্য উৎপাদন সম্ভব না। আমি হয়তো সময়ের জন্য পারছি না। তবে কেউ যদি এগিয়ে আসে, এর দারুণ বাজার আছে।
ভিয়েতনাম আর চায়নাই মূলত বড় বড় ফুলের টব আর দেওয়াল সাজানোর টেরাকোটা পণ্য দিয়ে বাজার দখল করে রেখেছে। আমরাও চাইলেই এই বাজারে ঢুকতে পারি। ফ্রাংকফুর্ট বা হংকংয়ের মেলাগুলোতে দেখা যায় এসবের প্রচুর চাহিদা।

সারাবাংলা: পিতলের কী কোনো বাজার আছে?

গোলাম আহসান: দাম বেশি হওয়ার কারণে সেভাবে পিতলের বাজার না থাকলেও, রূপা আর জার্মান স্টিলের চাহিদা বেশি। এই বাজার আবার বলতে গেলে ভারতের একচেটিয়া দখলে। সম্ভাবনা থাকলেও দুঃখের বিষয় আমরা বাজারটা ধরতে পারছি না। আমাদের দেশে এখন এই সেক্টরে ভালো মানের কারিগরও পাওয়া যায় না। তাছাড়া কাঁচামালের দামও কিছুটা বেশি। এই দিকগুলো সমাধান করা গেলে আমরা পিতলের বৈশ্বিক বাজারও ধরতে পারবো।

সারাবাংলা: বাংলাদেশের পাটশিল্পের উন্নয়নে আপনার পরামর্শ ও পরিকল্পনা নিয়ে কিছু বলুন।

গোলাম আহসান: পাটের বাজার ধরতে আমরা অনেক চেষ্টা করছি। তবে পাটজাত পণ্যের দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় আমরা পিছিয়ে পড়ছি। বাংলাদেশে পাট চাষ হলেও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন খরচ বেশি। ভারত আমাদের কাছ থেকে পাট নিয়েও কম খরচে আমাদের চাইতে ভালো মানের পণ্য বানাচ্ছে। সেখানে সরকারও সহযোগিতা (ইনসেনটিভ) করে। ফলে তাদের বানানো পাটের জিনিসের দাম আমাদের চেয়ে অন্তত বিশ শতাংশ কম। এসব নানা কারণেই আমরা পাটের বাজারে পিছিয়ে পড়ছি।
সরকারের পাশাপাশি আমরাও পাটের বাজার ধরতে চাচ্ছি। সেই লক্ষে পাটজাত পণ্যের উৎপাদন খরচ কমিয়ে কীভাবে এর দাম কমানো যায় সেই চেষ্টা চলছে।

দেশীয় হস্তশিল্প

সারাবাংলা: আপনি কী মনে করেন, আরও বেশি মানুষকে হস্তশিল্পে উদ্বুদ্ধ করা গেলে ঢাকায় অতিরিক্ত মানুষের যে চাপ, সেটা কমানো যেত। অথবা বিকেন্দ্রীকরণে ভূমিকা রাখতে পারতো?

গোলাম আহসান: আপনার চমৎকার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। আমরা সবাই চাই বিকেন্দ্রীকরণ হোক, কর্মক্ষেত্র সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ুক। কিন্তু ঢাকার বাইরে পণ্য উৎপাদনের কিছু অসুবিধাও আছে। এর মধ্যে অন্যতম হল, উৎপাদিত পণ্যের প্যাকেজিং আর পরিবহণ। এসব কারণে আমরা ঢাকার বাইরে ফ্যাক্টরি স্থাপন করতে নিরুৎসাহিত বোধ করি। কিন্তু ঢাকার বাইরে কর্মসংস্থান বাড়াতে এসব সুযোগ সুবিধা বাড়াতেই হবে। ভিয়েতনামের উদাহরণ দিতে পারি। সেখানে হ্যানয় থেকে ৩০০ কি.মি. দূরের শহরেও কল কারখানা গড়ে উঠেছে। হো-চি-মিন সিটি থেকে অনেক দূরের শহরেও এমনটা চোখে পড়ে। আমাদেরও এমন উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই কর্মসংস্থান ছড়িয়ে দিতে হবে। এভাবেই ঢাকার উপর অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ কমবে।

সারাবাংলা: হস্তশিল্পকে এগিয়ে নিতে কি ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে আপনি মনে করেন।

গোলাম আহসান: আমি বলতে চাই, বাংলাদেশের যে জনগোষ্ঠি এবং আর্থসামাজিক অবস্থা সেখানে এই জনগোষ্ঠিকে কাজে লাগাতে বিস্তৃত উদ্যোগ দরকার। কাজ যারা করবে তাদের একত্রে করা, শেখানো ও সুযোগ সুবিধা দেওয়া- এই কাজগুলো করতে হবে। সেই সঙ্গে গুণগতমানের ইউজার ফ্রেন্ডলি পণ্য বাজারজাত করতে হবে।

সারাবাংলা: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

গোলাম আহসান: আপনাকেও ধন্যবাদ

সারাবাংলা/আরএফ/জেএএম

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন