বিজ্ঞাপন

‘কাশ্মির ইস্যুতে তথ্য গোপন করছে সরকার, গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ’

August 22, 2019 | 7:41 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কাশ্মিরে কী ঘটছে, সরকার সে তথ্য গোপনের চেষ্টা করছে এবং গণমাধ্যমকেও স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যসভার বিরোধী দলীয় কংগ্রেস নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবী আজাদ। তার সঙ্গে সুর মিলিয়েছে আরও আটটি বিরোধী দল। তারা সবাই অবিলম্বে কাশ্মিরে আটক রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি ও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) তামিল নাড়ু ও পুডুচেরি ভিত্তিক রাজনৈতিক দল দ্রাবিড় মুনেত্রা কাজাগাম (ডিএমকে) আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়েছে, ডিএমকে ছাড়াও আট রাজনৈতিক দল— কংগ্রেস, টিএমসি, সিপিআই (এম), সিপিআই, এসপি, আরজেডি, ন্যাশনাল কনফারেন্স ও এমডিএমকে এই সমাবেশে উপস্থিত থেকে কাশ্মিরের প্রতি সংহতি জানায়।

সমাবেশে গুলাম নবী আজাদ বলেন, আমাদের অবশ্যই স্বীকার করে নিতে হবে যে সেখানে (কাশ্মির) এখন গণতন্ত্র নেই। আমরা যদি এটা বুঝতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা বোকার স্বর্গে বাস করছি।

বিজ্ঞাপন

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মিরকে কেন্দ্রীয় শাসনের অধীনে নিয়ে আসা হয়। তিনি বলেন, কাশ্মিরে খুবই ভয়াবহ কিছু ঘটছে এবং সরকার সেটা চেপে রাখার চেষ্টা করছে। গণমাধ্যমকেও সেখানকার সত্য প্রকাশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ক্ষমতায় থাকলে এ ধরনের ঘটনা কখনোই ঘটত না বলেও মন্তব্য করেন আজাদ।

এর আগে, সিপিআই (এম)-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও কাশ্মিরের বর্তমান পরিস্থিতিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীকে স্মরণ করেন। জম্মু ও কাশ্মিরকে কেন্দ্র শাসনের আওতায় আনতে ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তকে ভারতীয় সংবিধানের স্তম্ভের ওপর প্রত্যক্ষ আঘাত অভিহিত করে সীতারাম বলেন, বাজপেয়ী বলতেন— কাশ্মিরিয়াত, জম্মুরিয়াত, ইনসানিয়াত। সরকার সে কথা ভুলেই গেছে।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে উপস্থিত রাজনৈতিক দলগুলো কাশ্মিরে আটক বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও সাধারণ মানুষের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাতে একটি রেজ্যুলেশন গ্রহণ করেন। রেজ্যুলেশনে বলা হয়, কাশ্মিরে আমরা অবিলম্বে স্বাভাবিক পরিবেশ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর দাবি জানাই যেন সাধারণ মানুষ তাদের প্রিয়জন ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ পায়।

এদিকে, কাশ্মিরের মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা টানা ১৮ দিনের মতো বন্ধ রাখা হলেও অনেক স্থানেই সড়ক থেকে ব্যারিকেড তুলে নেওয়া হয়েছে এবং জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে দ্য হিন্দু জানায়, কাশ্মিরের কোথাও ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন