বিজ্ঞাপন

কিছু এনজিও রোহিঙ্গাদের উসকানি দিচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী

August 24, 2019 | 1:24 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কিছু বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বাধার সৃষ্টি করছে ও রোহিঙ্গাদের উসকানি দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এসব এনজিওকে চিহ্নিত করা হবে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার নগরীর যাত্রা মোহন সেন হলে (জে এম সেন হন) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে ধর্ম মহাসম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী। শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন কৈবল্যধাম আশ্রমের মোহন্ত অশোক কুমার চট্টোপাধ্যায়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে নিজের বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তথ্যমন্ত্রী। সেসময় রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে মিয়ানমারকেও কাজ করতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন স্থগিত ঘোষণার কিছু আগে এনজিওদের একটি অ্যালায়েন্স বিবৃতি দিয়েছে যে, মিয়ানমারে নাকি সেই পরিবেশ নাই। তারা এক্ষেত্রে আগেও রোহিঙ্গাদের প্ররোচনা দিয়েছে, এখনও দিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে আস্থার সংকট আছে এটা সঠিক। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি রোহিঙ্গাদের অনেকে উমকানি দিচ্ছেন যাতে তারা ফেরত না যায়।’

বিজ্ঞাপন

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করায় চীনকে ধন্যবাদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের আলোচনার ভিত্তিতে প্রত্যাবাসনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ এবারও ব্যর্থ

নিজের বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সব সম্প্রদায়কে সমান মর্যাদা দিয়েছে। কারণ সব সম্প্রদায়ের মানুষকে সঙ্গে নিয়েই দেশকে এগিয়ে নিতে চায় সরকার। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে দেশ গড়তে সংবিধানের মূল কাঠামো ফিরিয়ে আনা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, এখন দেশে ধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব সবার।

বিজ্ঞাপন

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে আমাদের পরিচয় রচিত, ধর্মের ভিত্তিতে নয়। এজন্য ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সাথে আমাদের অমিল।’

বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মিলিত রক্তস্রোতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘মানবতা, ভ্রাতৃত্ব, সাম্য ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার যে বাণী ধর্মগুলো ধারণ করে তা মেনে চললে সমাজে ভেদাভেদ থাকবে না।’

শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ধারণ করে সারাবছর অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক বাবুল ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি রাখাল দাশ গুপ্ত, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি গৌরাঙ্গ দে, সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দে প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এসএমএন

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন