বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক মোজাফফরকে শেষ শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর

August 24, 2019 | 11:59 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের কফিনে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবেও অধ্যাপক মোজাফফরের কফিনে শ্রদ্ধা জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন- অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ আর নেই

পরে এছাড়াও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও হুইপরাও শেষ শ্রদ্ধা জানান অধ্যাপক মোজাফফরের কফিনে।

বিজ্ঞাপন

জানাজায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধাররণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, আইনজীবী ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহেদুল ইসলাম সেলিম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননসহ সর্বস্তরের রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।

দুপুর ১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে অধ্যাপক মোজাফফরের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদকে।

বিজ্ঞাপন

সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অধ্যাপক মোজাফফরের জানাজা

অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) প্রধান, ভারতীয় উপমহাদেশের বাম রাজনীতির পুরোধা, স্বাধীন বাংলা‌দে‌শের স্থপ‌তি‌দের অন্যতম, মু‌জিব নগর সরকা‌রের উপ‌দেষ্টামণ্ডলির মধ্যে বেঁচে থাকা সর্বশেষ সদস্য। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে তিনি রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।

বার্ধক্যসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। গত ১৪ আগস্ট তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। তার মৃত্যুতে মৃত্যুতে শোক ও গভীর দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ১৯২২ সালের ১৪ এপ্রিল কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামে জন্ম হয় তার। ১৯৫২ সালে তিনি ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠকও ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় ও জনমত গড়ে তোলার জন্য তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন। জাতিসংঘেও তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।

বিজ্ঞাপন

তিন বছর আগে অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদকে সরকার স্বাধীনতা পদক দিতে চেয়েছিল। তিনি সবিনয়ে তা গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন