বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু ফিনিক্স পাখির মতো, তার মৃত্যু নেই: অর্থমন্ত্রী

August 27, 2019 | 8:01 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রিক রূপকথার ফিনিক্স পাখির সঙ্গে তুলনা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, একটি ফিনিক্স পাখি যখন হাজার বছরের কাছাকাছি চলে আসে, তখন সে ঘর বেঁধে সেই ঘরে ঢুকে যায়। পরে নিজের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়, আগুনে আত্মাহুতি দেয়। ওখান থেকে যে ছাই-ভস্ম হয়, তা থেকে আরেকটি ফিনিক্স পাখির জন্ম হয়। সেই ফিনিক্স পাখিটিও হাজার বছর বেঁচে থেকে একইভাবে আত্মাহুতি দেয়। সেখান থেকে আরেকটা ফিনিক্স পাখির জন্ম হয়। ফিনিক্স পাখির তাই মৃত্যু নেই। বঙ্গবন্ধুও সেই ফিনিক্স পাখির মতো। তার মৃত্যু নেই।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, যতদিন পৃথিবীতে সূর্য উদিত হবে, যতদিন বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে একজন বাঙালিও বেঁচে থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে থাকবেন সূর্যের মতো।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী আরও বলেন, একদিনের কথা বলি। আমরা অপেক্ষা করছিলাম বঙ্গবন্ধুর জন্য। বঙ্গবন্ধুর জন্য আরেকজন সরকারি কর্মকর্তা আমার আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন। তার হাতে একটি ফাইল। বঙ্গবন্ধু এসেই বললেন, আাপনি কী নিয়ে আসছেন? ওই কর্মকর্তা বললেন, একটি ফাইল নিয়ে আসছি, বিশ্বব্যাংকের ফাইল। ফাইলে বিশ্বব্যাংক একটি কনসালট্যান্টের নাম উল্লেখ করেছে। তারা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং স্টাডি করবে। বঙ্গবন্ধু জানতে চাইলেন বিশ্বব্যাংক কার নাম বলেছে। ওই কর্মকর্তা জানালেন, একটা জার্মান কোম্পানির নাম বলা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কোম্পানিটির নাম অ্যাগ্রো প্রোগ্রেস জেএমবিএইচ। বঙ্গবন্ধু সঙ্গে সঙ্গে বলে দিলেন, না। বিশ্বব্যাংক একটি কনসালট্যান্টের নাম দেবে, এটা তো মানতে পারি না। এটি আমাদের প্রকল্প। তারা একটি কনসালট্যান্ট দিলে আমরা আরেকটি কানসালট্যান্ট দেবো। একটি কনসালট্যান্ট যে নাম দিয়েছে, সে তো কাজ নাও করতে পারে। কাজটি তো আমাদের করতে হবে। সেজন্য আমরাও আমাদের একটি দেশি কনসালট্যান্ট দেবো।

মুস্তফা কামাল বলেন, সে সময় আমাদের রেশন কার্ড ছিল। প্রতি সের গম বা চালের জন্য কত টাকা দাম দেবো, সেটা নির্ধারণ করার জন্য এই প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল। সেটির নাম ছিল ‘ফুড প্রকিউরমেন্ট রেশনিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন। বঙ্গবন্ধু কিন্তু আমাকে কাজ দেওয়ার জন্য বলেননি। কোনোভাবে ডিরেক্ট কিংবা ইনডিরেক্ট আমাকে মিন করেননি। কিন্তু খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওই উপসচিব ভাবলেন, বঙ্গবন্ধু হয়তো পরোক্ষভাবে আমার নাম বলেছেন। তিনি এসে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। শেষ পর্যন্ত আমি কাজটি পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু থেকে এই পুরস্কার আমি সারাজীবন মনে রাখব। উপহার হিসেবে আমি এটাকে নিয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব অনেক বড়। আমাদের দেশের স্বার্থে যেসব অর্থ আমরা দেশের বাইরে থেকে নিয়ে আসি, সেটি যেন সহনশীল হয়, সুদ যেন মাত্রার ভেতরে থাকে এবং সেটি যেন দেশের উন্নয়নে প্রকৃত অর্থেই কাজে লাগে। সেটি সমঝোতার সময় আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে।’

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
চবি ছাত্রকে মারধরের পর হলের ছাদ থেকে ফেলা চেষ্টার অভিযোগহিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনাঢাকার পয়ঃবর্জ্য-গ্যাস লাইন পরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশরানা প্লাজা ধস: ভুক্তভোগীদের পুনর্বাসন ও মামলা নিষ্পত্তির দাবিগরমে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনা সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি ডিএমপিরকল্পনা চাকমা অপহরণ মামলা ২৮ বছর পর খারিজব্যাংক একীভূতকরণের নামে ঋণ খেলাপিদের দায়মুক্তি দেওয়া হচ্ছেন্যাপ বাস্তবায়নের জন্য চাই রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আইনি ভিত্তিকাদেরকে নিয়ে মন্তব্য, যাত্রী কল্যাণের মহাসচিবের বিরুদ্ধে জিডিজাহাজেই ফিরবেন ২৩ নাবিক, চলছে কয়লা খালাস সব খবর...
বিজ্ঞাপন