বিজ্ঞাপন

যুক্তরাজ্যে পার্লামেন্ট বন্ধ রাখতে রানির হস্তক্ষেপ কামনা

August 28, 2019 | 4:12 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের কয়েক সপ্তাহ বাকি থাকতেই সেপ্টেমবরের অধিবেশনে যোগ দেবেন সংসদ সদস্যরা। তারপর পার্লামেন্ট বন্ধ রাখার জন্য বুধবার (২৮ আগস্ট) রানির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বরিস জনসনের নেতৃত্বাধীন যুক্তরাজ্য সরকার। খবর বিবিসির।

বিজ্ঞাপন

বিবিসির রাজনীতি বিষয়ক সম্পাদক লরা কুয়েন্সবার্গ বলেছেন, এর মাধ্যমে সরকার তাদের পরিকল্পনানুসারে আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত রানির ভাষণ পেছাতে সক্ষম হবেন।

এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে, সংসদ সদস্যরা আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্লামেন্টে এমন কোন বিল পাস করতে পারবেন না, যা যুক্তরাজ্যকে ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসতে বাধাগ্রস্থ করে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, পার্টির নেতৃত্ব বাছাইয়ের দৌড়ে পেছনের দিকে থাকা ডমিনিখ গ্রেইভ বলেছেন, পার্লামেন্ট বন্ধ রাখার পরিকল্পনা অত্যন্ত ভয়ানক। এ পরিকল্পনার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পার্লামেন্টে তোলার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। তাতে এ সরকারে পতন ঘটতেও পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন গ্রেইভ।

পার্লামেন্ট বন্ধ রাখার এ সিদ্ধান্ত সংসদ সদস্যদের ব্রেক্সিট ইস্যুতে গণতান্ত্রিক ভূমিকা রাখার সুযোগ খর্ব করছে।

উল্লেখ করা যায় যে, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে একটি নতুন অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে সাধারণত কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে রাণী এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। সংসদীয় অধিবেশনগুলো সাধারনত এক বছরব্যাপি হয়ে থাকে। কিন্তু চলতি পার্লামেন্টের অধিবেশন প্রায় দুই বছর ধরে চলছে। পার্লামেন্ট বন্ধ থাকা অবস্থায় কোনো বিতর্ক, পক্ষে বিপক্ষে ভোট চলতে পারে না। এবং যেসব আইন পার্লামেন্ট থেকে পাস হয়ে আসতে পারেনি, পার্লামেন্ট বন্ধ থাকা অবস্থায় সেগুলো স্ব স্ব জায়গায় স্থবির থাকে।

বিজ্ঞাপন

তবে পার্লামেন্ট বন্ধ রাখা এবং পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করা এক বিষয় নয়। পার্লামেন্ট বিলুপ্ত হলে সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ আসনও শূণ্য হয়ে যায়।

সারাবাংলা/একেএম

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন