বিজ্ঞাপন

ধারাবাহিক মূল্যায়নের কার্যকারিতা যাচাই: ৮ জেলায় পাইলট কর্মসূচি

August 29, 2019 | 7:27 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মাধ্যমিক পর্যায়ে ধারাবাহিক মূল্যায়নের কার্যকারিতা যাচাইয়ের জন্য আট জেলায় শুরু হচ্ছে পাইলট কর্মসূচি। সেপ্টেম্বরের প্রথম দিন থেকে এসব জেলার ১৬টি উপজেলায় তিন মাসের জন্য এই কর্মসূচি চালু করছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

বিজ্ঞাপন

মাউশি সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা পদ্ধতির মান উন্নয়নে দেশের ৬৪টি বিদ্যালয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়নের কার্যকারিতা যাচাই করা হবে। বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট, সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বাবধানে এই কর্মসূচি চলবে।

পাইলট কর্মসূচীর আওতায়, নতুন একটি পাঠ্যক্রমে শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ে ২০ থেকে ২১টি ক্লাস নেওয়া হবে। প্রতিটি ক্লাসের সময় হবে ৫০ মিনিট। এর জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক থাকবে। যদি শিক্ষক না থাকেন তাহলে খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এসব শিক্ষকরা প্রতিদিন বিষয়ভিত্তিক তিনটি করে ক্লাস নেবেন।

মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান জানান, আটটি জেলা থেকে এই কর্মসূচির জন্য দুটি করে উপজেলা বাছাই করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে খাগড়াছড়ি জেলার সদর ও দীঘিনালা উপজেলা, চাঁদপুরের সদর ও হাইমচর, সুনামগঞ্জের সদর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রামের কোতোয়ালী ও রাউজান, ঢাকা মহানগরের খিলগাঁও ও লালবাগ, পঞ্চগড়ের সদর ও আটোয়ারি, সাতক্ষীরার সদর ও তালা এবং বরিশাল জেলার সদর ও বাবুগঞ্জ উপজেলা।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এ বছর শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এবং চারু ও কারুকলা বিষয়ে পরীক্ষার বদলে ধারাবাহিক মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এই পদ্ধতিটি কতটুকু কার্যকর হয়েছে তা যাচাই করতেই পাইলট কর্মসূচি শুরু করছি। ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের শেখার সুযোগ অনেক বেশি।

অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান বলেন, প্রচলিত যে পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হয় আমরা সেখানে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছি। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়ন জরুরি। এজন্য ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতিটি বেশ কার্যকর। শুধুমাত্র মুখস্থ বিদ্যায় এ পদ্ধতিতে ভালো ফল করা কঠিন। তবে পদ্ধতিটি কতটুকু কার্যকর হলো সেটি এখন যাচাই করে দেখতে হচ্ছে।

ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতির কার্যকারিতা প্রমাণ হলে বা এ পদ্ধতিতে ভালো ফলাফল এলে আরো কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা উঠিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে মাউশি সূত্রে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, ধারাবাহিক মূল্যায়নে কার্যকারিতা যাচাইয়ের পাইলট কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্ট উপজেলার অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার, সহকারী পরিদর্শক ও গবেষণা কর্মকর্তারা নিশ্চিত করবেন বলে মাউশি থেকে এরইমধ্যেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সারাবাংলা/টিএস/জেএএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন