বিজ্ঞাপন

এশিয়ায় রাজধানী বদলের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

August 31, 2019 | 12:54 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা একটি সুপরিচিত শহর। বিশ্ব জুড়েই এই শহরের নামডাক আছে। তবে শহরটি অধিক জনসংখ্যার চাপ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে  সমস্যায় ভুগছে। জাকার্তা প্রতিবছর একটু একটু করে ডুবে যাচ্ছে  জাভা সাগরে। এছাড়া প্রায় ১ কোটি জনসংখ্যার কারণে শহরটি হয়ে গেছে ঘনবসতিপূর্ণ। ফলে দিন দিন শহরে নাগরিক সুযোগ সুবিধার ঘাটতি বাড়ছে। দেশের প্রশাসনিক কাজ চালাতে হিমশিম  খান কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞাপন

এসব বিবেচনা করে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জকো উইদদো গত সোমবার (২৬ আগস্ট) তার দেশের রাজধানী বদলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এই শহরের ওপর থেকে রাজধানীর ভার সরিয়ে নিয়ে যেতে চান দেশের বর্ণেও দ্বীপের পূর্বাংশে।

এর আগে তিন বছর টানা গবেষণা, পরীক্ষা ও জরিপ চালিয়ে রাজধানী হিসেবে বর্ণেও দ্বীপের পূর্বাংশকে বেছে নিয়েছে দেশটির সরকার। নতুন রাজধানীকে উপযোগী করে গড়ে তুলতে খরচ হবে ৩৩ বিলিয়ন ডলার। প্রায় ১০ লক্ষ নাগরিকের আবাসস্থল করার পরিকল্পনা রয়েছে সেখানে।

প্রেসিডেন্ট উইদেদো শহর স্থানান্তরের ঘোষণা দেওয়ার দিন বলেন, ‘এই স্থানটি রাজধানী করার জন্য খুবই কৌশলী স্থান। এটা ইন্দোনেশিয়ার প্রায় মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থিত এবং শহুরে অঞ্চলের কাছাকাছি। জাকার্তা এখন যে পরিমাণ বোঝা বহন করছে তা থেকে শহরটিকে মুক্তি দেওয়া উচিত।’

বিজ্ঞাপন

১৯৪৫ সালে ন্যাদারল্যান্ডসের কাছ থেকে স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই দেশটি জাকার্তার বদলে অন্য কোনো শহরকে রাজধানী করার পরিকল্পনা করে আসছিলো। দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি সুকর্ণও বর্তমানে নির্ধারিত এলাকায় রাজধানী বদলের চিন্তা করেছিলেন। এবার প্রেসিডেন্ট উইদেদো রাজধানী বদলের ঘোষণা দেওয়ার ফলে তা চূড়ান্ত হয়ে গেল। এখন বাকি শুধু আনুষ্ঠানিকতা।

তবে এশিয়ায় এর আগেও কিছু দেশে রাজধানী বদলের ঘটনা ঘটেছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক এশিয়ার দেশগুলোতে রাজধানী বদলের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।

নেপিডো (মিয়ানমার)

যদি জিজ্ঞেস করেন মিয়ানমারের রাজধানীর নাম কী? তাহলে হয়ত বেশিরভাগ উত্তরদাতাই বলবেন রেঙ্গুনের কথা। কেননা মিয়ানমারের রাজধানী হিসেবে আমরা অনেকেই রেঙ্গুনের নামই পড়েছি ছোটবেলায়। তবে সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত এই শহরটি সেই ২০০৬ সাল থেকে আর মিয়ানমারের রাজধানী নয়। দেশটির রাজধানীর মুকুট এখন নেপিডোর মাথায়।

বিজ্ঞাপন

নেপিডো দেশের প্রায় মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থিত। এই শহরটিকে  রাজধানী করার সিদ্ধান্ত নেয় মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার। সমুদ্র উপকূল অবস্থিত শহর রেঙ্গুনে গণতান্ত্রিক আন্দোলন হতে পারে এবং তা ঠেকাতে দেশটির জান্তা সরকার হিমশিম খেতে পারে এই ভাবনা থেকেই রাজধানী বদল করা হয়। তবে নেপিডোকেই কেনো পছন্দ হলো সামরিক জান্তার তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়না।

নেপিডোকে রাজধানী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২০০১ সালে। এরপর রাজধানী হিসেবে উপযোগী করতে শহরে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলে। ২০০৫ সালে তা শেষ হয়। ২০০৬ সালে নেপিডোকে রাজধানী ঘোষণা করা হয়।

যদিও নেপিডোই কেনো রাজধানী হলো এর সঠিক উত্তর সামরিক সরকার ছাড়া আর কারো কাছে নেই তবে এ নিয়ে দুটি তত্ত্ব আছে। কেউ বলেন সামরিক কৌশলের অংশ হিসেবে নেপিডোকে বেছে নেওয়া হয়েছিলো। আবার এরকমও জনশ্রুতি আছে যে, একজন গণকের পরামর্শ অনুযায়ী এই শহরকে বেছে নেওয়া হয়।

রেঙ্গুনের তুলনায় নেপিডোয় এখনও সেভাবে কোনো অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। দেশের মানুষ এখনও নেপিডোর পরিবর্তে রেঙ্গুনকেই ব্যবসা বাণিজ্য ও বসবাসের জন্য বেছে নেয়।

বিজ্ঞাপন

যদিও নেপিডো রাজধানী তবে এই শহরে এখন পর্যন্ত বিদেশী দূতাবাসও হয়নি। শুধুমাত্র চীন এখানে একটি লিয়াজো অফিস খুলেছে। এছাড়া আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রও একটি অফিস খুলার কথা রয়েছে। বলাই বাহুল্য বেশিরভাগ কূটনৈতিক ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড এখনও রেঙ্গুনেই হয়। বিদেশি কোম্পানি, এনজিওসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় সব স্থানীয় কার্যালয়ই রেঙ্গুনে অবস্থিত।

রাজধানী হওয়া সত্ত্বেও নেপিডোয় নেই কোনো উল্লেখযোগ্য কর্মব্যস্ততা। প্রশস্ত রাস্তা আছে অথচ চলার মত নেই পর্যাপ্ত গাড়ি। তাই কেউ কেউ নেপিডোকে ভূতের শহরও বলে থাকেন।

সেজং (দক্ষিণ কোরিয়া)

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানীর নাম সিউল। তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে দেশটির আরেকটি প্রশাসনিক রাজধানী রয়েছে। যার নামটি অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত। কোরিয়ার বিখ্যাত জোসন রাজবংশের বিখ্যাত রাজা চতুর্থ সেজং এর নামে এই শহরের নামকরণ করা হয়।

সিউলে বাস করেন দক্ষিণ কোরিয়ার মোট জনগণের প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ আড়াই কোটি মানুষ। এর আয়তন ৫ হাজার বর্গ মাইলের চেয়েও কম। শহরটি হয়ে গেছে বেশ ঘনবসতিপূর্ণ। এছাড়া এই শহরটি প্রতিবেশী বৈরী দেশ উত্তর কোরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি। তাই সামরিক কৌশলের ক্ষেত্রে অনেকটাই ঝুঁকি থাকে।

২০০২ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট রো মু হুন  সিদ্ধান্ত নেন দেশের মাঝামাঝি অঞ্চলে প্রশাসনিক একটি রাজধানী করার। বেছে নেওয়া হয় সেজং কে। এই শহরে প্রশাসনিক কাজ করার জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে অবশ্য কাজ শুরু হয় এর অনেক পর ২০১১ সাল থেকে।

এখনও এ শহরে পুরোদমে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড চলে না। এই শহরে এখন বাস করেন মাত্র ৩ লক্ষের কিছু বেশি নাগরিক। তাই সিউলের জনসংখ্যা সমস্যার সমাধানে এখনও কোনো লক্ষণীয় ভূমিকা পালন করতে পারছে না শহরটি। আর পারবেই বা কী করে? ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ও প্রেসিডেন্ট হাউস সহ এখনও যে প্রশাসনিক অনেক অফিসই সিউলে! তবে সেজংয়ে পুরো প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড স্থানান্তরিত করার প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়েছে।

সিউল থেকে হাইস্পিড ট্রেনে মাত্র ১ ঘণ্টার দূরত্ব এই শহরে প্রধান প্রধান সরকারি অফিসের বেশিরভাগই চলে এসেছে। যার মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, অর্থ-মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, জাতীয় ট্যাক্স অফিস ইত্যাদি। দেশটি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির একটি শাখাও এখানে খোলার কাজ করছে।

তবে সমালোচকরা এই শহরের বেশ সমালোচনা করেন। সিউলের ওপর থেকে কোনো চাপ কমাতে না পারার ব্যর্থতা ত রয়েছেই এর সঙ্গে আছে শহরটিকে দুর্বল পরিকল্পনায় তৈরি ও শহরে ঢুকতে জটিলতার সমস্যা। তবে কোরিয়া সরকারের দাবি এই শহর প্রযুক্তিগত সুযোগ সুবিধায় ভবিষ্যতের স্মার্ট সিটির মডেল হতে যাচ্ছে। বিশ্ববিখ্যাত স্যামসাং ও এলজি ব্র্যান্ডের দেশ দক্ষিণ কোরিয়া স্মার্ট সিটির মডেল গড়বে এ নিয়ে খুব একটা সন্দেহ নেই কারো।

 

পুত্রাজায়া (মালয়েশিয়া)

এই শরটি মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী। মাহাথির মোহাম্মদ ১৯৮০ সালে এই শহরে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড স্থানান্তরের প্রস্তাব করেন। এই শহর কুয়ালামপুর থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে। পুত্রাজায়া শহরের নামটি দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী টুঙ্কু আব্দুল রাহমান পুত্রা আল হজ এর নামানুসারে দেওয়া। এই শহর তৈরিতে খরচ হয়েছে ৮ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তবে কুয়ালালামপুর এখনও দেশটির অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক রাজধানী। আর পুত্রাজায়ায় চলে কেন্দ্রীয় সরকারের সব কাজ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয় ও সরকারি এজেন্সিগুলো সেখানে স্থানান্তরিত হওয়া শুরু করে ২০০৩ সালে। যে বছর মাহাথির মোহাম্মদ প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়েছিলেন।

সরকারের প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানই সেখানে স্থানান্তরিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বাসভবনও এখন পুত্রাজায়ায়। মাহাথির মোহাম্মদ ফের দেশটির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সেখানে অফিসও করেছেন।

 

আস্তানা/নুর সুলতান (কাজাখস্তান)

প্রথমে শহরটির নাম ছিলো আকমলা। এরপর এর নামকরণ করা হয় আস্তানা। এরপর এর নাম হয় নূর সুলতান। বিশ্বের দ্বিতীয় শীতল শহর কাজাখস্তানের রাজধানীর ইতিহাস এমনই।

কাজাখস্তানের রাজধানী ছিলো আলমাতি শহর। যার পরিচিতি ছিলো আলমা আতা নামে। শহরটি এখনও কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় শহর। দেশের মোট ১১ শতাংশ নাগরিক আলমাতিতে বাস করেন।

১৯৯০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে কাজাখস্তান। আর ১৯৯৭ সালে কাজাখস্তানের প্রথম প্রেসিডেন্ট নূরসুলতান নাজারবায়েভ রাজধানী বদল করেন। রাজধানী সরিয়ে নেন দেশের উত্তরে ইশিম নদীর তীরে অবস্থিত শহর আকমলাতে। রাজধানী করেই শহরের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় আস্তানা। এরপর ২০১৯ সালে এই শহরের নাম আরেক দফা পরিবর্তন করা হয়। দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট নূরসুলতান নাজারবায়েভের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় নূর সুলতান।

নূর সুলতান আধুনিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা ও স্থাপত্যে দারুণ সমৃদ্ধ একটি শহর। এই শহরের দারুণ সব স্থাপনা পৃথিবীর যেকোনো সমৃদ্ধ শহরের সঙ্গেই পাল্লা দিতে পারে।

ইসলামাবাদ (পাকিস্তান)

পাকিস্তানের দক্ষিণ অঞ্চলের বন্দর নগরী করাচী দেশটির প্রথম রাজধানী ছিলো। এই শহরকে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ রাজধানী হিসেবে নির্দিষ্ট করেন। তবে সামরিক শাসক আইয়ুব খান ক্ষমতা নিলে দেশের উত্তরের শহর ইসলামাবাদকে রাজধানী ঘোষণা করেন। শহরটি বিবাদপূর্ণ অঞ্চল কাশ্মীরের কাছাকাছি হওয়ায় এবং সমুদ্র আক্রমণ থেকে রাজধানীকে দূরে রাখতে ইসলামাবাদকে রাজধানী ঘোষণা করা হয়। সরকারের সকল প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড ইসলামাবাদে স্থানান্তরিত হয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক করাচিতেই থেকে যায়। করাচি দেশটির প্রধান ব্যবসা কেন্দ্র। করাচি স্টক এক্সেঞ্জও ইসলাবাদের চেয়ে বেশি প্রভাবশালী।

নয়া দিল্লী (ভারত)

ব্রিটিশরা ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে সরিয়ে দিল্লীতে স্থানান্তরিত করে ১৯১১ সালে। সেখানে তারা অস্থায়ী সরকারি কার্যক্রম চালু করে এর পরের বছরই। এরপর শহরকে রাজধানী হিসেবে উপযুক্ত করতে ব্রিটিশরা নগর পরিকল্পনাবিদ এডওয়ার্ড লুটয়েনস ও হেরবের্ট বেকারকে নিয়োগ দেয়। তারা ২০ বছরে শহরে সরকারি অফিস ভবন, বাংলো, এভিনিউ তৈরি করে। ১৯২৭ সালে এর নাম পরিবর্তন করে নয়া দিল্লী রাখা হয়। তারপর ১৯৩১ সালে রাজধানী হিসেবে এই শহরের অভিষেক ঘটে।

কলকাতা তখনকার ভারতের সাহিত্য, সংস্কৃতি, রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় সেখানে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন দ্রুত বাড়তে থাকে। ব্রিটিশরা পদে পদে প্রবল বাধার সম্মুখীন হয়। কলকাতায় সরকারি অফিসে ও মালামালে আক্রমণ করত স্বাধীনতাকামীরা। এতে রাজধানী প্রায়ই অচল হয়ে যেত। বিদ্রোহের আঁচ সরাসরি এসে লাগত সরকারের গায়ে। নয়া দিল্লী দেশের উত্তর অঞ্চলে হওয়ায় রাজধানী আন্দোলনের আঁচ থেকে দূরে থাকে।

ব্রিটিশরা ভারত ছাড়ার পরেও ভারতের রাজধানী হিসেবে থেকে যায় নয়া দিল্লী। এখন এই শহরে বাস করেন ২ কোটিরও বেশি মানুষ। ১৯১১ সালে এই শহরে বাস করত মাত্র চার লক্ষ নাগরিক।

ক্যানবেরা (অস্ট্রেলিয়া)

এছাড়া এশিয়া প্রাশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী বদলের ইতিহাস রয়েছে।

১৯১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা স্থাপিত হয়। দেশের প্রধান দুই শহর মেলবোর্ন ও সিডনির মধ্যকার প্রতিযোগিতা ও দ্বন্ধকে প্রশমিত করতে নিরপেক্ষ একটি শহরকে রাজধানী করে সরকার।

তবে ১৯৯৪ সালে তখনকার প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ডের এক ঘোষণায় ক্যানবেরার দুর্বলতা প্রকাশ হয়ে যায়। জন হাওয়ার্ড ঘোষণা দিয়েছিলেন ক্যানবেরায় নয়, তার বাসভবন হবে সিডনিতে। ক্যানবেরা রাজধানী হলেও তা যে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু হতে পারেনি তা বুঝা যায়।

এছাড়া শহরটি সম্পর্কে সাবেক প্রধানমন্ত্রী পল কেটিং বলেছিলেন, এই শহরকে রাজধানী করা ছিলো দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ভুল।

অন্য যে দেশ রাজধানী বদলের চিন্তা করছে

ফিলোপাইনের সরকার নিউ ক্লার্ক সিটি নামক একটি শহর করার পরিকল্পনা করছে। যা দেশটির রাজধানী ম্যানিলো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে। তারা এই শহরকে সরকারি ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের জন্য ম্যানিলার বিকল্প হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। এ পরিকল্পনা প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুত্রেতের শহরের বাইরে উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ। তবে বিকল্প শহর তৈরির এই পরিকল্পনাকে অনেকেই সমালোচনা করছেন কেননা এর আগেও ফিলিপাইনে রাজধানী বদলের অভিজ্ঞতা আছে। ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত দেশটির রাজধানী ছিলো কুয়েজন সিটি। এরপর প্রেসিডেন্ট ফার্ডিনান্ড মার্কোস পুনরায় ম্যানিলাকে রাজধানী করেন এবং কুয়েজন সিটিকে মেট্রো ম্যানিলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মেট্রো ম্যানিলা ১৯৭৮ সালে ফিলিপাইনের রাজধানী হয়।

তথ্যসূত্র: এশিয়ান রিভিউ ও বিবিসি’র প্রতিবেদন এবং উইকিপিডিয়া। 

সারাবাংলা/আইই

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন