বিজ্ঞাপন

কাঁচা চামড়া ব্যবসীয়দের পাওনা টাকা পরিশোধ শুরু

August 31, 2019 | 10:01 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ট্যানারি মালিকদের কাছে কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের পাওনা টাকা পরিশোধ করা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন এফবিসিসিআই’র সহসভাপতি রেজাউল করিম রেজনু। তিনি বলেন, সারাদেশে কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের পাওনা টাকা ট্যানারি মালিকরা পরিশোধ করা শুরু করেছেন। পাশাপাশি ট্যানারিগুলো মাঠ পর্যায় থেকে এ বছরের কাঁচা চামড়া কেনা জোরদার করেছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেল চারটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চামড়া ব্যবসায়ীদের তিনটি সংগঠনের সঙ্গে এফবিসিসিআই‘র বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ, বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ দেলোওয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার অ্যান্ড গুডস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন, এফবিসিসিআই’র সহসভাপতি নিজাম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এফবিসিসিআই সহসভাপতি রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা চামড়া শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে চাই। সেজন্য ব্যাংক ঋণ সমস্যা, হাজারীবাগ সমস্যা এবং সাভারের চামড়া শিল্প নগরীর ইপিটি সমস্যা সমাধানে নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আজকের বৈঠকটি চামড়া শিল্পের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।’

বৈঠক শেষে ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, আজকের বৈঠকে আমরা সব পক্ষ সন্তুষ্ট। কাচাঁ চামড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রাথমিকভাবে তাদের পাওনা টাকা পরিশোধ শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে আজ বাংলাদেশ কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী ঐক্য সমিতি নামে একটি সংগঠন যাত্রা করেছে। এই সংগঠনের সঙ্গে তাদের পাওনা টাকা পরিশোধ সংক্রান্ত বিষয়েও চুক্তি হয়েছে। ’

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘বৈঠকে আমরা মোটামুটি সন্তুষ্ট। এর আগে তিনটি বৈঠক হয়েছে। চামড়া শিল্পেকে কিভাবে বাঁচিয়ে রাখা যায় সে বিষয়ে আমরা ঐক্যমত হয়েছি। একইসঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ২০১৮ সালের বকেয়া আগে পরিশোধ করা হবে। তারপর পরিশোধ করা হবে ২০১৯ সালের টাকা।’

তিনি আরও বলেন, ‘অক্টোবরের মধ্যে চলতি বছরের কোরবানির চামড়া কেনা শেষ করতে হবে। তারপর আমরা বৈঠক করব কিভাবে ২০১৫ সাল থেবে ২০১৭ সালের পাওনা টাকা পরিশোধ করা হবে। ’

দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের পাওনা টাকা তিন কিস্তিতে পরিশোধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১৯৯০ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সময়ের বকেয়া অর্থ একটি কিস্তিতে, ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সালের বকেয়া আরেকটি কিস্তিতে এবং ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সালের বকেয়া অন্য একটি কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে। তবে এখন ২০১৫ সালে থেকে ২০১৯ সালের পাওনা টাকা পরিশোধ শুরু হয়েছে ‘

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার অ্যান্ড গুডস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন বলেন, ‘কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের পাওনা টাকা পরিশোধের বিষয়ে আমরা সবাই একমত হয়েছি। এনিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। অনেকের পাওনার বিষয়ে কোন কাগজপত্র না থাকলেও বিশ্বাসের ওপর কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়।’

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন