বিজ্ঞাপন

সন্ত্রাসী হামলার মূল টার্গেট পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার

September 1, 2019 | 4:53 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সাম্প্রতিক বোমা হামলার ঘটনায় ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে। পুলিশকে টার্গেট করেই মূলত তাদের হামলা। শনিবার রাতে সিগন্যাল পড়ায় সাইন্সল্যাবের ওই রাস্তাটি ফাঁকা ছিল। রাস্তায় শুধুমাত্র ট্রাফিক পুলিশের সদস্য এবং এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলামের গাড়ি বহরের এএসআই এবি শাহাবুদ্দিন ছিলেন। ঠিক তখনই বোমা হামলার ঘটনাটি ঘটে। এতেই মনে হয়, হামলার মূল টার্গেট ছিল পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১ সেপ্টেম্বার) দুপুর একটায় ডিএমপির সদর দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এসব কথা বলেন।

পুলিশের ওপর হামলার কারণ হিসেবে কমিশনার বলেন, ‘গুলশানে তাভেল্লা সিজার হত্যা ও হলি আর্টিজানে হামলাসহ রাজধানীতে যে কয়েকটি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে তার প্রত্যেকটি তদন্ত করে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের যেভাবে দমন করা হয়েছে তাতে পুলিশের ওপর ক্ষোভ থাকাটা স্বাভাবিক। এছাড়া রাজনৈতিক সন্ত্রাসীরা ২০১৩ সালের পর যেভাবে পুলিশের ওপর আক্রমণ ও দেশে একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির তৈরি করেছিল, সেবব ঘটনাতেও পুলিশ সন্ত্রাসীদের দমন করেছে। একারণে ওইসব সন্ত্রাসীদেরও পুলিশের ওপর ক্ষোভ থাকতে পারে। ’

রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ডের সাথে জঙ্গি সন্ত্রাসীদের কোনো যোগসূত্র বা সম্পর্ক আছে কিনা তা তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রাজধানীর গুলিস্তানে ট্রাফিক পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা, মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে টাইম বোমা রেখে যাওয়া, খামারবাড়ি ও পল্টন মোড়ে ট্রাফিক বক্সে হাতবোমা রাখা এবং গতরাতে সায়েন্সল্যাবে পুলিশের ওপর বোমা হামলা-এর সবক’টির ধরণ একই এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যে করেছে তা নিশ্চিত হওয়া গেছে। পূর্বের সব ঘটনার তদন্তের যথেষ্ট অগ্রগতি রয়েছে। তদন্ত এবং জড়িতদের গ্রেফতারের স্বার্থে তাদের নাম পরিচয় বলা যাচ্ছে না।’

‘হামলার পর আন্তর্জাতিক একটি গোষ্ঠী একটি ওয়েবসাইট থেকে দায় স্বীকার করে-এটাকে কিভাবে দেখছেন?- জানতে চাইলে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলা একটি বৈশ্বিক সমস্যা। কোনো কিছু ঘটলেই একটি সাইট থেকে দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়। আদৌ সেটি সঠিক কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা দেশি ও বিদেশি এক্সপার্টদের সাথে কথা বলে সেগুলোও তদন্তের আওতায় এনেছি।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকায় সম্প্রতি কয়েকটি অস্ত্রের চালানও ধরা পড়েছে। প্রত্যেকটি ঘটনা একটি আরেকটির সাথে সম্পর্কযুক্ত। সবকিছু সঠিকভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। একটি ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে আরেকটি ঘটনা বেরিয়ে আসে। ’

বিজ্ঞাপন

নগরবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। আমরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করছি। পুলিশের ওপর হামলাকারীরা বেপরোয়া হয়ে গেছে। তারা পুলিশের ওপর প্রতিশোধ নিতে চাইছে। তারা জনগণকে টার্গেট করছে না।’

বারবার পুলিশকে টার্গেট করার কারণ জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, ‘পুলিশ সব সসময় দেশের সংবিধান অনুযায়ী মানুষকে নিরাপদে রাখা। তাদের ধারণা, মনোবল ভেঙে দিতে পারলে হয়তো সবকিছু আয়ত্বে আসবে। সে ধারণা আসলেই ভুল। কারণ পুলিশ একটি পেশাদার রাষ্ট্রীয় বাহিনী। কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করা আর প্রশিক্ষিতি বাহিনীকে টার্গেট করা এক জিনিস নয়।’

সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন