বিজ্ঞাপন

আর্সেনিক ঝুঁকিতে দেশের চার কোটি মানুষ

September 6, 2019 | 6:27 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবার পানিতে প্রাণঘাতি বিষের মতো পদার্থ পাওয়া যাচ্ছে। যার কারণে প্রায় ৪ কোটি (৪০ মিলিয়ন) মানুষ আর্সেনিক ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রতিবছর অন্তত ৪০ হাজার মানুষ আর্সেনিকের কারণে মারা যায়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ‘ডিটেকটিং এ লিথাল পয়জন ইন ড্রিংকিং ওয়াটার’ শীর্ষক একটি ভিডিও প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞাপন

বিবিসি জানিয়েছে, বাংলাদেশের খাবার পানিতে এমন ধরনের প্রাণঘাতি পদার্থ রয়েছে যা খালি চোখে দেখা যায় না, আবার খাওয়ার সময়ও স্বাদের ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য অনুভূত হয় না। অথচ বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলের খাবার পানিতেই প্রাণঘাতি পদার্থ আর্সেনিকের উপস্থিতি রয়েছে। খাবার পানি জীবাণুমুক্ত করতে ভুলপদ্ধতি প্রয়োগ করায় আর্সেনিকের মতো প্রাণঘাতি পদার্থের উপস্থিতি বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন কিছু নয়।

প্রায় ৪ কোটি বাংলাদেশি আর্সেনিক ঝুঁকিতে রয়েছে। কীভাবে আর্সেনিকমুক্ত খাবার পানি নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে গবেষণা করে একদল বিজ্ঞানী সঠিক সমাধানের পথ বের করেছে। তারা বলছে, এ বিষয়ে সবার আগে স্থানীয় মানুষদের সচেতন করতে হবে। বিশুদ্ধ খাবার পানির মান সম্পর্কে মানুষের মধ্যে বোঝাপড়া থাকতে হবে। বিজ্ঞানীরা একটি কিট আবিষ্কার করেছে যার মাধ্যমে সহজেই পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা নির্ণয় করা যায়। কিন্তু এই কিটের মূল্য সস্তা নয়। তাই জাতিসংঘের শিশু তহবিল সংস্থা বা ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে বিনামূল্যে এ সেবা দিচ্ছে।

বিবিসি আরও বলছে, গত ৭০ এর দশকে বাংলাদেশে কলেরা মহামারি আকার ধারণ করে। বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব থেকেই তখন কলেরার জীবাণু সংক্রমিত হয়ে মানুষের প্রাণহানি ঘটায়। ওই ঘটনার পর থেকে বিশুদ্ধ পানির জন্য দেশজুড়ে নলকূপ ও গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। এই পদ্ধতিতে মাটি ভেদ করে, যেখানে পানির স্তর রয়েছে সেখান থেকে পানি টেনে তোলা হয়। কিন্তু এই পদ্ধতিতে পানি তুলতে গিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক পদক্ষেপ না নেওয়ায় পানির সঙ্গে আর্সেনিকও চলে আসে। কারণ হচ্ছে, মাটি ভেদ করতে গিয়ে যেখানে আর্সেনিকের স্তর রয়েছে তাও ভেদ করা হয়, এতে পানির সঙ্গে আর্সেনিক চলে আসে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআইএল/ইএইচটি/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন