বিজ্ঞাপন

বৃষ্টি যখন পরম আরাধ্য

September 7, 2019 | 7:51 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম থেকে: নিখাঁদ বৃষ্টি প্রেমী কিংবা কবি সাহিত্যিক ছাড়া এমন মানুষ খুব কমই আছেন যারা কায়মন বাক্যে বৃষ্টি কামনা করেন। কারণটিও যে দারুণ সঙ্গত। এদেশের মতো এমন ঘনবসতিপূর্ণ এবং স্বপ্লোন্নত অবকাঠামোর একটি দেশে বৃষ্টি মানেই যেন বিপর্যস্ত জনজীবন। কিন্তু কী জানেন? সেই বৃষ্টিই এই মুহূর্তে হয়ে উঠেছে পরম আরাধ্য।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার চলমান টেস্টে সাকিবরা যেভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তাতে একমাত্র বৃষ্টিই তাদের বাঁচাতে পারে। চট্টগ্রামে আগামী দুই দিন টানা বৃষ্টি হলে আর যাই হোক টেস্ট ক্রিকেটে সদ্য জন্ম নেওয়া দলটির কাছে ১৯ বছরের অভিজ্ঞদের বিব্রত হারের গ্লানি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হবে না।

কেননা চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের চাইতে ৩৭৪ রানে এগিয়ে আফগানিস্তান। ড্রেসিং রুমে মজুদ আছেন আরও দুই ব্যাটসম্যান। চতুর্থ দিনে তারা স্কোর বোর্ডে আর ২৬ রান যোগ করতে পারলেই সামগ্রিক লিড গিয়ে দাঁড়াবে ৪০০। না পারলেই বা কি? চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশ গেল ১৯ বছরে ২১৫ রানের বেশি তাড়া করে জিততে পারেনি। এমতাবস্থায় রোববার ও সোমবার টানা বৃষ্টি হলে ম্যাচটি অবধারিতভাবেই ড্র হবে। এমতাবস্থায় ডমিঙ্গো শিষ্যদের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে শরতের বৃষ্টি।

বিজ্ঞাপন

মজার ব্যাপার হলো, আগামী দু’দিন সেই সম্ভাবনা প্রবল। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ‘সাগরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত আছে। আগামী দু’দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।’

তার মানে ২০১৫ সালের পরে জহুর আহমেদে বৃষ্টি বাধায় আরও একটি টেস্ট ম্যাচ ভেসে যাবে! সেবার দক্ষিণ আফ্রিকার বাংলাদেশ সফরে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি গড়িয়েছিল বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। প্রথম দিনটি ভালোই কেটেছিল। দ্বিতীয় দিন থেকে হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। তৃতীয় দিনে শেষ সেশন আর মাঠে গড়ায়নি। চতুর্থ দিনে গড়ায়নি একটি বলও। ম্যাচ অফিসিয়ালরা ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করলে ড্র তে শেষ হয় চট্টগ্রাম টেস্ট।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন