বিজ্ঞাপন

‘৫ টন পাট পাতার চা রফতানি হবে চলতি অর্থবছরে’

September 9, 2019 | 10:30 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

সংসদ ভবন থেকে: চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ পাট পাতা থেকে উৎপাদিত পাঁচ মেট্রিক টন চা রফতানি করবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ পাট পাতা থেকে উৎপাদিত আড়াই মেট্রিক টন চা জার্মানিতে রফতানি করেছে। ওই দেশ থেকে আরও পাঁচ মেট্রিক টনের চাহিদা পাওয়া গেছে। চলতি অর্থবছরে পাঁচ মেট্রিক পাট পাতা থেকে উৎপাদিত চা জার্মানিতে রফতানি করব।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সংসদে সরকারি দলের সদস্য ফরিদুল হক খানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।

নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোবাশ্বের আলমের প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র শিল্পের উন্নয়নে সরকার আমদানি করা ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ও কাঁচামাল আমদানির ওপর শুল্ক রেয়াত সুবিধা দিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বস্ত্র খাতের উন্নয়নে সরকার এরই মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক জোন স্থাপানের কাজ হাতে নিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- ‘এ বছর ১৭ লাখ ৫২ হাজার একর জমিতে পাট উৎপাদিত হয়েছে’

এছাড়া ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আধুনিক বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য দেশের বস্ত্র শিল্পের আধুনিকায়নের জন্য বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এ জন্য বস্ত্র আইন-২০১৮ পাশ করা হয়েছে। এই আইন দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে বস্ত্র অধিদফতর। এছাড়া ‘বায়িং হাউজ নিবন্ধন প্রজ্ঞাপন-২০১৯’ও জারি করা হয়েছে।

বস্ত্রখাতে দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে ৪২টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, সাতটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও সাতটি টেক্সটাইল ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট চলমান রয়েছে— বলেন গোলাম দস্তগীর গাজী।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বছরে গড়ে ৩ হাজার ৫৭৩ জন এসএসটি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইঞ্জিনিয়ার, ৩৮৪ জন এক্সিকিউটিভ লেভেলে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও ৩৬১ জন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার পাস করে বের হচ্ছে।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আরও বলেন, বস্ত্র অধিদফতরে বর্তমানে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে চারটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, আটটি টেক্সটাইল ডিপ্লোমা ইনিস্টিটিউট ও ১৫টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনিস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, আহমেদ বাওয়ানি টেক্সটাইল মিলের নির্বাচিত পাইভেট পার্টনার ও কাদেরীয় টেক্সটাইল মিলের নির্বাচিত পাইভেট পার্টনারদের সঙ্গে চলতি বছরের ২১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি সই হয়েছে।

এছাড়া রেশম শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে রেশম তাঁতীদের ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে এবং তাঁতীদের উৎপাদিত রেশম গুটির মূল্য ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করা হচ্ছে বলেও সংসদকে জানান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমআই/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন