বিজ্ঞাপন

‘চাহিদার চেয়ে ১০ কোটি লিটার বেশি পানি উৎপাদন করছে ওয়াসা’

September 11, 2019 | 10:18 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

সংসদ ভবন থেকে: রাজধানীবাসীর যে পরিমাণ পানির চাহিদা রয়েছে, প্রতিদিন তার চেয়ে ১০ কোটি লিটার বেশি পানি ওয়াসা উৎপাদন করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকায় বসবাসরত মানুষের দৈনিক পানির চাহিদার পরিমাণ ২২০ থেকে ২৪৫ কোটি লিটার। তবে ঢাকা ওয়াসা প্রতিদিন ২৫৫ কোটি লিটার পানি উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে। অর্থাৎ ১০ কোটি লিটার পানি উদ্বৃত্ত থাকছে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেলে অধিবেশন শুরু হয়।

আরও পড়ুন- ‘উপজেলায় এমপিদের উপদেষ্টা থাকা নিয়ে প্রশ্ন অবান্তর’

বিজ্ঞাপন

অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে পানির সিস্টেম লস ২০ শতাংশ। তবে ঢাকা মেট্টো এলাকায় সিস্টেম লস (ডিএমএ) ৫ থেকে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আগে ৪০ ভাগ পর্যন্ত ছিল। ডিএমএ পদ্ধতি বর্তমান সরকারের সময়ে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ১৪৪টির মধ্যে ৬২টি ডিএমএ’র কাজ শেষ হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে শতভাগ ডিএমএ’র আওতায় আসবে।

হাজী সেলিমের অন্য একাধিক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে জানান, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৩টি পার্ক ও চারটি শিশু পার্ক রয়েছে। অন্যদিকে, ঢাকা মহানগরে দক্ষিণ সিটি থেকে নিবন্ধন ইস্যু করা রিকশার সংখ্যা ৫২ হাজার ৭১২টি, উত্তর সিটির ২৭ হাজার ৩৯৭টি। বর্তমানে কী পরিমাণ রিকশা চলছে, তার কোনো পরিসংখ্যান নেই।

সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, এলজিইডির সহায়তায় ভূমিহীন ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২৬৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বাসস্থান কাজ গত বছরে শেষ হয়েছে। এছাড়া ওই প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলায় ১০৪টি বাসস্থান নির্মাণ করেছে।

বিজ্ঞাপন

মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের শতকরা ৮৭ জন মানুষ নিকটবর্তী উৎস থেকে নিরাপদ পানি সংগ্রহ করে থাকে। অবশিষ্ট দুই কোটি মানুষ দূরবর্তী উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করে। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে নিরাপদ পানির কাভারেজ ১০০ শতাংশ (প্রতি ৫০ জনের জন্য একটি উৎস) নিশ্চিত করতে হবে।

দিদারুল আলমের প্রশ্নের মন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীতে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে ও যানজট নিরসন করতে ঢাকা সিটির দুই মেয়রের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি কাজ করছে।

বেগম রত্না আহমেদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার করে জমির জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, পানি সংরক্ষণ, সেচ সুবিধা ও সেচ এলাকা বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সব ওর্য়াডে নির্ধারিত কমপরিকল্পনা অনুযায়ী বছরব্যাপী মশা নিধন কার্যক্রম চালানো হয়। এ বছরের শুরুতে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপের আশঙ্কায় মার্চ মাস থেকে মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন