September 12, 2019 | 4:03 pm
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট
অসংখ্য ভাগ্য বিড়ম্বিত মানুষের মতোই ওরা তিনজন- আবু কায়েস, আসাদ ও মারওয়ান। নিজেদের ভাগ্যান্বেষণের জন্য ফিলিস্তিন থেকে স্বপ্নের কুয়েতে পাড়ি জমাতে চায়। তিনজন বয়সে এবং প্রজন্মে আলাদা হলেও এক জায়গায় মিল তাদের, তারা সবাই বিড়ম্বিত উদ্বাস্তু।
কুয়েতে হাতছানি দিচ্ছে তাদের স্বপ্নের জীবন। কিন্তু কুয়েতে পৌঁছাবে কীভাবে? অনেক কষ্টের এবং দুর্গম পথ তাদের বেঁছে নিতে হয়। এই ভয়ানক পথটা পারি দিতে পারলেই তাদের প্রত্যাশিত শান্তি। তাই নাটকের নাম ‘পুলসিরাত’, জানালেন নির্দেশক কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন।
‘নাটকের সঙ্গে কোনো ধর্মীয় ব্যাপার নেই। কিন্তু ভাগ্য অন্বেষণের তাড়নায় মানুষগুলো শেষপর্যন্ত শান্তির ঠিকানা পাবে কিনা সেটা এই নাটকে বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে দেখানোর চেষ্টা করেছি।’ বললেন ইমন।
‘পুলসিরাত’ প্রাচ্যনাটের ৩৫ তম প্রযোজনা। ফিলিস্তিনি লেখক ঘাসান কানাফানি’র উপন্যাস ‘মেন ইন দ্য সান’ অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে নাটকের চিত্রনাট্য। এর অনুবাদ করেছেন মাসুমুল আলম, নাট্যরূপ দিয়েছেন মনিরুল ইসলাম রুবেল এবং নির্দেশনা দিয়েছেন কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন।
নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে, বেইলী রোডের ড. নীলিমা ইব্রাহীম মিলনায়তনে (মহিলা সমিতি)। একই মঞ্চে একইদিনে রাত ৮টায় হবে দ্বিতীয় মঞ্চায়ন।
নাটকটি নিয়ে ইমন সারাবাংলাকে বলেন, ‘নাটকটিকে কিন্তু আমরা বাংলাদেশিকরণ করার চেষ্টা করিনি। নাটকের আবেদনে বিদেশি ছাপ থাকছে। পুরো নাটক জুরেই একটা যাত্রাকে দেখানো হয়েছে। সেই যাত্রা সুন্দর জীবনের জন্য। সেই আওয়াজটাই আমরা তুলে ধরতে চেয়েছি।’
বিড়ম্বিত উদ্বাস্তু তিনজন ঘটনাক্রমে আবুল খাইজুরানের শরণাপন্ন হয়। আবুল খাইজুরান একজন পানিবাহী ট্যাঙ্ক লরির ড্রাইভার। দশ দিনারের বিনিময়ে সে সীমান্ত পাড়ি দিবে তিনজনকে নিয়ে। আগস্ট মাসের প্রচন্ড গরমে, রোদে পুড়ে মরুভূমির পথে লরিটি এগিয়ে যায়। তিনটি হতভাগ্য বিড়ম্বিত জীবন ছুটে চলে স্বপ্নময় এক নতুন স্বচ্ছ্বল জীবনের প্রত্যাশায়। কিন্তু প্রত্যাশা কী পূরণ হবে?
সারাবাংলা/পিএ