বিজ্ঞাপন

সরকারের দেশ চালানোর টাকা নেই: মোশাররফ

September 13, 2019 | 2:27 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশ চালানোর মতো টাকা সরকারের হাতে নেই বলেই বিভিন্ন উপায়ে ভ্যাট সম্প্রসারণের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সরকারের হাতে দেশ চালানোর টাকা নেই। নানাভাবে ভ্যাট সম্প্রসারণ করে জনগণের ওপর নির্যাতন করেও রাজস্ব বাড়াতে পারছে না সরকার। নিজস্ব লাভের জন্য বড় বড় মেগা প্রজেক্ট করে সরকার এখন আটকে গেছে। তাই এখন হাত বাড়িয়েছে আধা সরকারি-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের টাকার দিকে।

শুক্রবার ( ১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজ দেশের অর্থনীতির অবস্থা বিধ্বস্ত, ব্যাংকগুলো লুটপাট হয়ে গেছে, অনেক ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেছে। কোনো কিছুতে এই সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। অর্থনীতি, আইনের শাসন, বিভিন্ন প্রকল্প— কোনো খাতেই নিয়ন্ত্রণ নেই। নিয়ন্ত্রণ থাকলে বালিশ-পর্দার মতো দুর্নীতি কখনো হতে পারত না। আর এই দুর্নীতির পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন, বালিশ-পর্দা কেনার দুর্নীতি ছিঁচকে কাজ। এ কথার মাধ্যমে তিনি স্বীকার করেছেন, এর থেকে বড় বড় দুর্নীতিও সরকার করছে।

মহাসড়কে টোল আদায়ে সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জনগণের টাকায় নির্মিত সড়কে জনগণ চলাচল করবে। সেখানে কেন তারা টোল আদায় করবে? আর সড়কে যেসব গাড়ি চলে, সব গাড়িই তো সরকারকে ট্যাক্স দেয়। বিদেশে বিভিন্ন সংস্থা রাস্তা নির্মাণ করে, তারা টোল আদায় করে সেই টাকা তুলে নেয়। কিন্তু আমাদের দেশের মহাসড়কগুলোতো জনগণের টাকায় বানানো হয়। তাহলে আবার টোল আদায় করবে কেন?— প্রশ্ন রাখেন তিনি।

এ দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নেই দাবি করে মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা আমাদের দল পুনর্গঠনের জন্য জেলা-উপজেলায় কাউন্সিল করতে চাইছি, কিন্তু অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। গতকাল ছাত্রদলের কাউন্সিল আদালতের নির্দেশে স্থগিত করা হয়েছে। আমরা আমাদের দলে, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালু করতে চেষ্টা করছি। সেই চেষ্টাকেও আজকে সরকার নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ছাত্রদলের কাউন্সিল গণভবণ বা লন্ডন থেকে ঘোষণার বিষয় নয়, এটা বিএনপির পল্টন বা গুলশান থেকে ঘোষণার বিষয় নয়। এটাও সরকারের সহ্য হলো না। আইন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ছাড়া, ইঙ্গিত ছাড়া, নির্দেশ ছাড়া নিম্ন আদালতের কোনো আদেশ পালিত হয় না। বিরোধী দলগুলোর বিষয়ে তারা কোনো আদেশও দেয় না।

তিনি বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) ছাত্রদলের কাউন্সিলের বিষয়ে যিনি মামলাটি করেছেন, সেই ব্যক্তি ছাত্রদলের কাউন্সিলের প্রার্থীও না, ভোটারও না কিংবা সাংগঠনিকের কোনো কিছুই তিনি নেই। তিনি কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত নন। তারপরও তার সেই দেওয়ানি পিটিশনের পরে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে এবং ভারপ্রাপ্ত একজন নারী ম্যাজিস্ট্রেটকে বসিয়ে রায়টি দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদল উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো জ্বলে উঠুক— সরকার সেটা চায় না। এমনকি তাদের গায়ে জ্বালা যন্ত্রণা ধরে গিয়েছিল। তাই এটাকে নেভানোর জন্য এই অপকর্মটি করা হয়েছে।

স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হকসহ অন্যরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসজে/টিআর

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন