September 14, 2019 | 4:29 pm
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট
জনপ্রিয়তা থাকে, কিন্তু সেই জনপ্রিয়তা একটা সময় হাওয়া বদলায়। যার ফলে জনপ্রিয়তা থাকলেও সেই জনপ্রিয়তার প্রতি মানুষের তেমন আগ্রহ থাকে না। জীবদ্দশায় সব তারকার বেলায় এমন হয়ে থাকে। এটাই চিরন্তন। মেনে নিতে হয়।
চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও পূর্ণিমা একসময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী। কখনও তারা দু’জন জুটি হয়ে আবার কখনও আলাদাভাবে বেশকিছু জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন। কিন্তু সেসব এখন অতীত। ব্যক্তিগত জীবনে এই দুই বন্ধু এখন পাদপ্রদীপের আলোয় নেই। তাদের দুজনের এখন সময় কাটছে বিভিন্ন রিয়েলিটি শোয়ের বিচারকের দায়িত্ব পালন করে।
নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল পরিচালিত ‘জ্যাম’ ও ‘গাঙচিল’ নামে দুটি সিনেমায় অভিনয় করছেন ফেরদৌস–পূর্ণিমা। তবে ছবি দুটির কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে সে তথ্য নেই। হচ্ছে হবে করে দিন পার হচ্ছে।
ফেরদৌস অভিনীত সবশেষ ছবি ‘পবিত্র ভালোবাসা’ মুক্তি পায় গত বছর অক্টোবরে। আর পূর্ণিমা অভিনীত সবশেষ ছবি ‘টু বি কন্টিনিউড’ মুক্তি পায় ২০১৭ সালে।
পরবর্তীতে এই দুই অভিনয়শিল্পী আগ্রহী হয়ে ওঠেন রিয়েলিটি শোয়ের বিচারকের দায়িত্ব পালন করতে। এখন তারা ‘কে হবে মাসুদ রানা’ রিয়েলিটি শোয়ের বিচারকাজ পরিচালনা করছেন। এছাড়া সম্প্রতি ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।
নায়ক থেকে বিচারক হিসেবে আবির্ভূত হওয়াকে ফেরদৌস ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছেন। তার মতে, সিনেমার পাশাপাশি বিচারকের দায়িত্ব পালন করা চ্যালেঞ্জিং একটি কাজ। এটি উপভোগ্য একটি বিষয়। বিচারক হলে যে সিনেমার গুরুত্ব কমে যাচ্ছে তা তিনি মনে করেন না। বেশকিছু সিনেমার কাজ করছেন বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে পূর্ণিমা ‘কে হবে মাসুদ রানা’ ছাড়া অন্য কোনো রিয়েলিটি শোতে বিচারকের দায়িত্ব পালনের খবর জানা যায়নি। তবে এর আগে তিনি ‘নেক্সট টিউবার টু’, ‘সেরা রাঁধুনী’সহ বেশকিছু রিয়েলিটি শোয়ের বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ বিষয়ে পূর্ণিমার সাথে কথা বলতে যোগাযোগ করা হলে তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে পূর্ণিমা আজকাল যেসব সিনেমার প্রস্তাব পাচ্ছেন তাতে তিনি আকাশচুম্বী পারিশ্রমিক চাইছেন। সম্প্রতি পারভেজ আমিন নামের একজন নাট্য পরিচালক তাকে সিনেমায় অভিনয় করার প্রস্তাব দিলে তিনি দশ লাখ টাকা পারিশ্রমিক চেয়ে বসেন। পরবর্তীতে ওই পরিচালক বাধ্য হয়ে কলকাতা থেকে নায়িকা নির্বাচন করেন।
সারাবাংলা/আরএসও/এএসজি