বিজ্ঞাপন

‘দুর্নীতি-জালিয়াতির ভূত’ তাড়াতে মিছিল করলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

September 15, 2019 | 6:07 pm

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট

ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই ছাত্রলীগের ৩৪ নেতাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তির অভিযোগে ‘দুর্নীতি-জালিয়াতির ভূত’ তাড়াতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের পদত্যাগ তিন দফা দাবি জানান।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাবি ক্যাম্পাসজুড়ে মিছিল করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও প্রগতিশীল ছাত্রজোট যৌথভাবে এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

‘ভূত তাড়ানো’ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘ভূত তাড়ানোর স্লোগান’সহ প্রতিবাদ সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। ‘ভূত তাড়াব, ভূত তাড়াব, ঢাবি ভিসির ভূত তাড়াব’, ‘ভূত তাড়াব, ভূত তাড়াব, ঢাবি ডিনের ভূত তাড়াব,’ ‘ভূত তাড়াব, ভূত তাড়াব, জিনাত হুদার ভূত তাড়াব’, ‘ভূতের বাড়ি যাব না, ছা-ছপ খাব না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

মিছিল থেকে তিনটি দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এগুলো হলো— যারা অবৈধভাবে ভর্তি হয়েছেন, তাদের ছাত্রত্ব ও ডাকসুর পদ বাতিল করে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে খালি পদগুলোতে দ্রুত উপনির্বাচন দিতে হবে; উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান ও ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামকে পদত্যাগ করতে হবে; এবং রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ জিনাত হুদাকে পদত্যাগ ও রোকেয়া হল সংসদের ভিপি ও জিএসকে অপসারণ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে চয়ন বড়ুয়া বলেন, ৩৪ জনকে ঢাবি ভিসি চিরকূটের মাধ্যমে ভর্তি করেছেন। এদের মধ্যে অনেকে ডাকসুতে রয়েছেন। এর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি, ডাকসু নির্বাচনের নীলনকশা অনেক আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। এই ভিসিকে অপসারণ করতে হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও বিজনেস অনুষদের ডিনকে পদত্যাগ করতে হবে। রোকেয়া হলের দুর্নীতির জন্য জিন্নাত হুদাকে পদত্যাগ করতে হবে।

হাসান আল মামুন বলেন, দুর্নীতি ও জালিয়াতির বিরুদ্ধে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজ এখানে জড়ো হয়েছি। জালিয়াতির যে ভূত প্রশাসনের ওপর ভর করেছে, সেই ভূত তাড়ানোর জন্য আজ আমরা এ বিক্ষোভ মিছিল করেছি। এর মাধ্যমে আমরা ঢাবি ভিসি ও বাণিজ্য অনুষদের ডিনসহ রোকেয়া হলের প্রভোস্ট জিন্নাত হুদার পদত্যাগ দাবি করছি।

এর আগে, গত ৮ সেপ্টেম্বর একটি জাতীয় দৈনিক প্রত্রিকার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসে, গত ডাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্রলীগের ৩৪ জন সাবেক ও বর্তমান নেতা ছাত্রত্ব টিকিয়ে রাখতে ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের মাস্টার্স অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে ভর্তি হন।

বিজ্ঞাপন

তফসিল ঘোষণার পর উপাচার্যের সই করা চিরকূট ও অনুষদের ডিনের সহায়তায় নিয়ম বহির্ভূত উপায়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি হন ছাত্রলীগ নেতারা। যদিও ছাত্রলীগের এই ৩৪ নেতার ভর্তি প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি বলে গত ১০ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন অভিযুক্ত ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম।

সারাবাংলা/কেকে/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন