September 16, 2019 | 3:10 pm
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় জাহাজ ভাঙার কারখানায় এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কারখানা কর্তৃপক্ষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করলেও ওই শ্রমিকের শরীরে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশের ধারণা, দুর্ঘটনায় ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার ভাটিয়ারিতে এন এম শিপইয়ার্ডে ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত আকতার মণ্ডল (৪৫) নওগাঁ জেলার বোয়ালিয়া উপজেলার জনৈক আফসার আলী মণ্ডলের ছেলে।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শামীম শেখ সারাবাংলাকে বলেন, ‘কারখানায় শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা রাতেই সেখানে গিয়েছিলাম। কারখানার মালিকপক্ষের লোকজন বলেছেন, আকতার মণ্ডল রাত ১০টার পরে ভাত খেয়ে পরিত্যক্ত জাহাজে দাঁড়িয়ে অন্যান্য শ্রমিকদের কাজ দেখছিলেন। এসময় হঠাৎ তিনি ঢলে পড়েন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সেখানেই মারা গেছেন। কিন্তু আমরা আকতার মণ্ডলের বুকে এবং শরীরের কয়েক জায়গায় জখমের চিহ্ন পেয়েছি।
দুর্ঘটনায় শ্রমিক আকতারের মৃত্যু হয়েছে কিনা সেটা জানার জন্য লাশ ময়নাতদন্ত করতে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ওই শিপইয়ার্ডের শ্রমিকদের কয়েকজন জানিয়েছেন, রাতে কাজ করার সময় লোহার পাতের আঘাতে শ্রমিক আকতারের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া বাংলাদেশ মেটাল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সারাবাংলাকে বলেন, ‘মালিক বলছে স্ট্রোক করেছে। আর শ্রমিকরা আমাদের জানিয়েছেন, লোহার আঘাতে শ্রমিক আকতার মণ্ডলের মৃত্যু হয়েছে। যেহেতু শরীরে দাগ আছে, অনেক জায়গায় থেঁতলে গেছে। এটা কোনোভাবেই স্ট্রোক হতে পারে না। ইদানিং আরও কয়েকটি শিপইয়ার্ডে শ্রমিক মারা যাওয়ার পর মালিক সেটাকে হার্টের অসুখ বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।’
সারাবাংলা/আরডি/এমও