বিজ্ঞাপন

১১ লাখ রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক ইসির কাছে, ভোটার হওয়ার সুযোগ নেই

September 16, 2019 | 7:06 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশে আসা ১১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক (আঙ্গুলের ছাপ) ও তথ্য নিয়ে রোহিঙ্গা সার্ভার প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন কেউ চাইলেই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না। বিভিন্ন মাধ্যমে রোহিঙ্গা নাগরিকের ভোটার হওয়ার বা এনআইডি পাওয়ার যে তথ্য এসেছে, সেগুলো সঠিক নয়।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় বিশেষ কার্যক্রম শেষ করে সার্ভারে তথ্য আপলোড করা হয়। এরপর ফিঙ্গার প্রিন্ট ম্যাচিং করে যারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্য, কেবল তাদেরই অন্তর্ভুক্ত করা হয়।’

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের এনআইডি ‘প্রাপ্তিতে’ ইসির কেউ জড়িত নয়, দাবি কমিশনারের

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘১১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক আমাদের কাছে আছে। আমরা রোহিঙ্গা সার্ভার তৈরি করেছি। এখন যাদের তথ্য নেওয়া হচ্ছে, তাদের আঙ্গুলের ছাপ ও তথ্য প্রথমেই রোহিঙ্গা সার্ভারে ম্যাচ করে দেখা হচ্ছে। কারও তথ্য এই সার্ভারে ম্যাচ করলে মূল সার্ভারে আর যাওয়াই লাগবে না। এছাড়া খসড়া প্রকাশের আগে আমরা ম্যচিং করব। কাজেই তারা ভোটার হতে পারবে না।’

ব্রিগেডিয়ার সাইদুল বলেন, কোনো বিদেশি বা রোহিঙ্গা যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে, সেজন্য আমরা বদ্ধপরিকর। এজন্য সিকিউরিটি ফিচার পরিবর্তন করেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

৪৬ জনের ভোটার হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা অপচেষ্টা। এখনও ভোটার হতে পারেনি। চেষ্টা তো করছে। কিন্তু সফল হতে পারবে না। ৪৬ জনের কেউ এনআইডি পায়নি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘লাকী বেগম নামের একজন স্মার্টকার্ড আনতে গেলে, মূল সার্ভার থেকে ধরা পড়ে তার এনআইডি সঠিক নয়। তাকে বৈধ এনআইডি দেওয়া হয়নি। বরং তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। তারপর আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করি। তাদের মাধ্যমে সঠিকভাবে প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন হয়েছে কিনা এসব দেখি। এতে ৪৬ জন ব্যক্তির ডাটা অসম্পূর্ণ পাওয়া যায়। কারও ফিঙ্গার প্রিন্ট ঠিক মত নেই। কারও ফরম সঠিকভাবে আপলোড করা হয়নি। এটা আমরাই চিহ্নিত করেছি।’

সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রামের ৩২টি এলাকাকে আমরা বিশেষ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছি। বিশেষ এলাকার জন্য বিশেষ ফরম পূরণ করা হয় এবং সার্ভারে তথ্য অন্তর্ভুক্তির জন্য বিশেষ কমিটির সুপারিশের প্রয়োজন পড়ে। উপজেলাগুলোতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলায় জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক করে এসব বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

‘প্রাথমিক তদন্তে এই অপচেষ্টার সঙ্গে আমরা কক্সবাজারে দুজন দালালের সম্পৃক্ততা পাই। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। এছাড়া আমাদের একজন পিয়ন এর সঙ্গে জড়িত আছে’- বলেন ব্রিগেডিয়ার সাইদুল।

সংবাদ সম্মেলনে ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রামের ডবলমুরি উপজেলা নির্বাচন অফিসের পিয়ন জয়নাল আবেদিন রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির অপচেষ্টায় জড়িত ছিল প্রাথমিক তদন্তে এসেছে। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও বিভাগীয় মামলার ব্যবস্থা নিচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন) আবদুল বাতেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন