বিজ্ঞাপন

বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম

September 16, 2019 | 11:41 pm

ঢাবি করেসপনডেন্ট

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের  (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থী ফাতেমা তুজ জিনিয়াকে বহিষ্কার করার প্রতিবাদ জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করলে গোপালগঞ্জে গিয়ে উপাচার্যকে ঘেরাও করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক বিক্ষোভ কর্মসূচি করে এই প্রতিবাদ জানান তারা।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী উপাচার্যকে আমরা থাকতে দেবো না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে অপসারণ করা না হলে আমরা গোপালগঞ্জে গিয়ে তার প্রশাসন ঘেরাও করব। শুধু গোপালগঞ্জ নয়, যেখানে দুর্নীতি-অন্যায়-অবিচার, সেখানেই প্রতিবাদ করবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এসময় নাসির উদ্দিনের অপসারণের দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে উল্লেখ করেন তিনি।

অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, খোন্দকার নাসির উদ্দিন ছাত্রজীবনে স্বাধীনতাবিরোধী ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। যুক্তরাজ্যে তিনি ছাত্রদলের সংগঠক ছিলেন। শুধু আত্মীয়তার খাতিরে একজন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় তো নয়ই, জাতির জনক যেখানে শুয়ে আছেন, সেখানে তিনি থাকতে পারেন না, নিয়োগ পেতে পারেন না।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ভিসি নাসিরের সীমাহীন দুর্নীতির কথা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ছাত্র বাণিজ্য নিয়ে, ভর্তি বাণিজ্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। নারী কেলেঙ্কারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই অবমাননাকর, তার বিরুদ্ধে সেই কেলেঙ্কারির কথাও প্রকাশিত হয়েছে। এত কিছুর পরও কিভাবে তিনি উপাচার্য পদে বহাল থাকতে পারেন— এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি।

মানববন্ধনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)। মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনসহ সংগঠনটির অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গত ২২ আগস্ট প্রতিবেদন তৈরির জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের বক্তব্য নিতে তার কার্যালয়ে যান ডেইলি সান পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিবেদক ফাতেমা তুজ জিনিয়া। এ সময় উপাচার্য তাকে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসের ব্যাখা চান। কর্তব্যরত সাংবাদিক স্ট্যাটাসের ব্যাখা দেন। কিন্তু উপাচার্য তাকে হুমকি-ধমকি দেন ও অশোভন আচরণ করেন। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সই করা এক আদেশে ফাতেমা তুজ জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/কেকে/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন