September 17, 2019 | 4:29 pm
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: ফরিদপুরের ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিনজন গাইনোকোলজি ও অবস বিশেষঞ্জের সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করতে হবে।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে (১৭ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দেশ দেন। আদালতে রিট আবেদন করেন অ্যাডভোকেট ইশতিয়াক আহমেদ। আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এম কে রহমান ও ব্যারিস্টার এম মইনুল ইসলাম।
পরে আইনজীবী এম মইনুল ইসলাম বলেন, এ কমিটির প্রতিবেদন তিন সপ্তাহের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আদালত রুল জারি করেছেন।
সিজারিয়ানের পর প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় অবহেলার কারণে কেন তিন বিবাদীকে দায়ী করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
রিটে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের সেক্রেটারি জেনারেল সালাউদ্দিন আহমেদ, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক এবং ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের অতিথি চিকিৎসক ডা. দিলরুবা জেবা এবং ওই হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়।
রিটে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফরিদপুরের ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে চিকিৎসক ও সংশ্নিষ্টদের অবহেলায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। ৩০ আগস্ট শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে প্রসূতি ফরিদপুর হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক খায়রুন্নাহার তানির সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে কন্যাশিশুর জন্ম দেন। ৩১ আগস্ট শনিবার সকাল ৭টায় হাসপাতালে মারা যান তানি।
তানির স্বামী হাইকোর্টের আইনজীবী সফওয়ান করিম অভিযোগ করেন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ডাক্তার দিলরুবা জেবা নির্ধারিত সময়ের আগেই রোগীকে সিজারিয়ান অপারেশন করায় এই মৃত্যু হয়েছে। তার অভিযোগ অসুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের ডেকে পাওয়া যায়নি।
সারাবাংলা/এজেডকে/একে