বিজ্ঞাপন

প্রেস কাউন্সিলের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার চায় এলআরএফ

September 17, 2019 | 6:31 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিচারাধীন ও আদালতের কথোপকথন বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অবিলম্বে প্রত্যাহার চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে আইন, আদালত ও সংবিধান বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ)।

বিজ্ঞাপন

প্রেস কাউন্সিলের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এলআরএফ তার বিবৃতিতে বলেছেন, প্রেস কাউন্সিল হাইকোর্টের রায়ের ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছে। যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত। প্রেস কাউন্সিলের বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও কণ্ঠরোধের শামিল বলেও উল্লেখ করে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এলআরএফ সভাপতি ওয়াকিল আহমেদ হিরণ ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান রাজু এ বিবৃতি দেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেস কাউন্সিলের বিজ্ঞপ্তিটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও কণ্ঠরোধের শামিল। হাইকোর্টের রায়ে এমন কোনো নির্দেশনা নেই। তবে গণমাধ্যমকর্মীদের সংবাদ প্রকাশে সতর্ক ও দায়িত্বশীল হতে বলা হয়েছে ওই রায়ে।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৬ মে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে হাইকোর্ট বিভাগ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করলেও তা ২১ মে সংশোধন করেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সংশোধনীর পর গণমাধ্যম কর্মীরা আগের মতোই আদালতের বিচারাধীন বিষয় ও কথোপকথন নিয়ে রিপোর্ট করে আসছে। এরও আগে গত ৯ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এক সৌজন্য সাক্ষাতে এলআরএফ নেতৃবৃন্দকে বলেছিলেন, ‘আদালতে যা দেখবেন তাই লিখবেন।’ এরপর প্রেস কাউন্সিলের এরকম বিবৃতি দেওয়ার অবকাশ নেই বলে মনে করে এলআরএফ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এলআরএফ সবসময় বিচার বিভাগ ও আদালতের মর্যাদা, ভাবমূর্তি ও সুনাম অক্ষুণ্ন রেখে সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। প্রকাশ্য আদালতে কী ঘটছে সে বিষয় জনগণকে সঠিক তথ্য জানানো গণমাধ্যমকর্মীদের দায়িত্ব বলে মনে করে এলআরএফ। কারণ তথ্য জানার অধিকার জনগণের রয়েছে। আদালত অঙ্গনে সে পেশাগত দায়িত্বই পালন করছে গণমাধ্যমকর্মীরা। এমন অব্স্থায় অবিলম্বে ওই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে এলআরএফ। অন্যথায় স্বাধীন সাংবাদিকতার স্বার্থে এলআরএফ পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

গত সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, কোনো মামলার শুনানিতে বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে কথোপকথন বা যুক্তি-তর্ক সংবাদপত্রে প্রকাশ করা যাবে না। সেখানে বলা হয়, এজলাস চলাকালীন বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে কথোপকথন বা যুক্তি-তর্ক একান্তভাবে কোর্টের সম্পদ এবং এটি সংবাদপত্রে প্রকাশযোগ্য নয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন