September 19, 2019 | 6:08 pm
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: গ্রামীণফোন ও রবির পাওনা আদায়ে বিটিআরসির সঙ্গে অপারেটর দুটির দ্বন্দ্ব নিরসনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা ইতিবাচক হলেও বিটিআরসির জন্য খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।
মহিউদ্দিন বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর দেওয়া সিদ্ধান্ত যদি বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান বা টেলিযোগাযোগমন্ত্রী প্রদান করতেন তাহলে এটি ছিল শোভনীয়। স্বাধীন একটি কমিশনের ওপর এভাবে হস্তক্ষেপ এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ এর বাইরে গিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত বিটিআরসির জন্য ভবিষ্যতে সুফল বয়ে আনবে না। এতে ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রক কমিশনের নেওয়া সিদ্ধান্ত কোনো অপারেটর মানবে কি না এ নিয়ে সন্দেহ আছে।’
প্রসঙ্গত, শীর্ষ দুই অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির কাছে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকার বকেয়া রাজস্ব পাওনা রয়েছে বলে দাবি করে আসছে বিটিআরসি। দুই অপারেটর বিটিআরসির অডিটকে ত্রুটিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে ওই দাবিকে অন্যায্য বলে আসছে। দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় বিটিআরসি নিয়ন্ত্রণমূলক পথে হাঁটছিল। লাইসেন্স বাতিল কেন করা হবে না এমন নোটিশও দেওয়া হয়েছিল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ওই দুই অপারেটরের এনওসি। ওই দুই অপারেটরে প্রশাসক বসানোরও ইঙ্গিত দিয়েছিল বিটিআরসি।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী জানান, সরকার আলোচনার মাধ্যমে বকেয়া রাজস্ব আদায় করবে।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মহিউদ্দিন বলেন, ‘একটি স্বাধীন কমিশনের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপের ফলে গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতি গ্রাহকরা আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এই যদি হয়, তাহলে প্রশ্ন দেশীয় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান সিটিসেল, ওয়ানটেল, র্যাংগসটেল, ঢাকা ফোন, সেবা ফোন বন্ধ হলো কেন? গ্রাহকদেরও কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ ছিল এসব প্রতিষ্ঠানে। টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থাকার পরও একটি স্বাধীন কমিশন করার প্রয়োজনীয়তা ছিল কিনা তা আজ প্রশ্ন আসতেই পারে।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে