বিজ্ঞাপন

সংকট মেটাতে মিয়ানমার, তুরস্ক ও মিশর থেকে আমদানি হচ্ছে পেঁয়াজ

September 23, 2019 | 7:32 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ানো ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে এবার মিয়ানমার, তুরস্ক ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে সরকার। এরই মধ্যে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি মিশর ও তুরস্ক থেকে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এগুলো বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজের আমদানিকারক এবং পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাজার দর সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

সভায় জানানো হয়, প্রতিবেশী ভারত প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস (এমইপি) নির্ধারণ করার কারণে দেশে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে। গত দুই সপ্তাহে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। এ পরিস্থিতিতেই এখন মিয়ানমার, তুরস্ক ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভায় বাণিজ্য সচিব পেঁয়াজের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের নৈতিকতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করতে অনুরোধ করেন। পেঁয়াজ আমদানি ও বাজারজাত সহজ ও দ্রুত করতে সরকার এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এ সংক্রান্ত তদারকি জোরদার করেছে বলেও তিনি জানান।

বিজ্ঞাপন

বাণিজ্য সচিব বলেন, মিয়ানমার থেকে প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে এবং প্রতিদিন আমদানির পরিমাণ বাড়ছে।

এতে করে অভ্যন্তরীণ বাজরগুলোতেও দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে।

তাছাড়া ভারত থেকে নতুন পেঁয়াজ শিগগিরই বাজারে আসছে। বিভিন্ন হাট-বাজারের পেঁয়াজ দ্রুত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পৌঁছানোর জন্য সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশে পেঁয়াজের মজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো বাজারেই পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। ভোক্তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলেও তিনি জানান।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে ব্যবসায়ীরা  জানান, পেঁয়াজের বর্তমান দাম খুবই সাময়িক। স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে, আমদানিও বাড়ছে। সরকারের চলমান সহযোগিতা অব্যাহত থাকায় পেঁয়াজের বাজার দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসছে।

সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) মো. শাখাওয়াত হোসেন, টিসিবি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, ট্যারিফ কমিশনের সদস্য আবু রায়হান আল-বেরুনী, চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ পাইকারী বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. ইদ্রিস, শ্যামবাজারের পেঁয়াজ আমদানিকারক হাজী মো. মাজেদ,  মো. হাবিবুর রহমান, মো. হাফিজুর রহমান, নারায়ন চন্দ্র রায়হ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন