বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে অস্ত্র-গুলিসহ ‘যুবলীগ কর্মী’ গ্রেফতার

September 25, 2019 | 6:03 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ এক যুবককে বাকলিয়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া মামুন নিজেকে যুবলীগ কর্মী পরিচয় দিয়ে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ করে আসছিলেন। কয়েকদিন আগে তিনি আরেক যুবলীগ কর্মীকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করেন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন।

মামুনের স্বীকারোক্তিমতে নগরীর বাকলিয়ার রাজাখালী এলাকায় তার আস্তানা থেকে একটি এলজি ও তিন রাউন্ড কার্তুজ এবং দুটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।

গ্রেফতার মো. মামুন (৩৭) বাকলিয়া থানার রাজাখালী ফায়ার সার্ভিসের বাচুর বাপের বাড়ির আমজু মিয়ার ছেলে।

বিজ্ঞাপন

ওসি নেজাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) মামুন এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে জিয়াউল হক জিয়া নামে একজনকে গুরুতর আহত করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জিয়া এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। বিচারাধীন একটি মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ায় তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এই ঘটনার পর আমরা সন্ত্রাসী মামুনকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছিলাম। আজ (বুধবার) আমরা তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।’

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গ্রেফতার মামুন নগরীর ৩৫ নম্বর বক্সিরহাট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজউল্লাহ বাহাদুরের অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তিনি নিজেকে যুবলীগ কর্মী পরিচয় দেন। ছুরিকাঘাতে আহত জিয়া নগর যুবলীগ নেতা নুরুল আনোয়ারের অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। অভ্যন্তরীণ বিরোধ এবং মামলায় সাক্ষী দেওয়ায় মামুন জিয়াকে ছুরিকাঘাত করেন।

রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি নেজাম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘মামুনের রাজনৈতিক পরিচয় আমরা জানি না। তবে তিনি একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার আসামি এহতেশামুল হক ভোলার সহযোগী হিসেবে এলাকায় তাকে সবাই চেনে। মামুনকে গ্রেফতারের পর এলাকার লোকজন মিষ্টি বিতরণ করেছে।’

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন করা হয় মাহমুদা আক্তার মিতুকে। এ ঘটনায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তার অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশ ওই বছরের ২৭ জুন নগরীর বাকলিয়ার রাজাখালী এলাকা থেকে এহতেশামুল হক ভোলাকে গ্রেফতার করে। ভোলা নিজেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দিত। মিতু হত্যায় মামলার পাশাপাশি তার স্বীকারোক্তিতে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ভোলার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও একটি মামলা দায়ের হয়।

সারাবাংলা/আরডি/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন