বিজ্ঞাপন

রোহিঙ্গাদের এনআইডি কেলেঙ্কারি, ২ ইসি কর্মীর জবানবন্দি

September 25, 2019 | 7:36 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: রোহিঙ্গাদের ভোটার করা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সরবরাহের মামলায় গ্রেফতার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দুই অস্থায়ী কর্মচারী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তারা এনআইডি কেলেঙ্কারির সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে আদালত ও তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মো. সফি উদ্দিনের আদালতে গ্রেফতার মো. শাহানুর মিয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। একই আদালতে সন্ধ্যায় জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতার মোস্তফা ফারুক।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘জবানবন্দি দেওয়ার পর আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

গ্রেফতার মো. শাহানুর মিয়া (৩২) চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার ফাজিলখাঁর হাট এলাকার আব্দুস সবুরের ছেলে। তিনি নির্বাচন কমিশনের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) প্রকল্পে টেকনিক্যাল এক্সপার্ট পদে কর্মরত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শাহানুরকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন থেকে আটক করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। মঙ্গলবার তাকে এনআইডি কেলেঙ্কারির ঘটনায় চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর বুধবার আদালতে হাজির করলে শাহানুর জবানবন্দি দেন।

গ্রেফতার মো. মোস্তফা ফারুক (৩৬) ফেনী সদর উপজেলার দমদমা গ্রামের মো. ইলিয়াছের ছেলে। তিনি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০১৯’ এ যুক্ত ছিলেন।

গত ২০ সেপ্টেম্বর মোস্তফা ফারুককে গ্রেফতারের পর তার বাসায় অভিযান চালিয়ে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। একই মামলায় তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

বিজ্ঞাপন

গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিনসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। বাকি দুজন হল- জয়নালের বন্ধু বিজয় দাশ ও তার বোন সীমা দাশ ওরফে সুমাইয়া। জয়নালের হেফাজতে থাকা নির্বাচন কমিশনের লাইসেন্স করা একটি ল্যাপটপও উদ্ধার করা হয়, যেটি বিজয় ও সীমার কাছে রেখেছিলেন জয়নাল। রাতেই ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় জয়নালকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জয়নাল আবেদিন আদালতে জবানবন্দি দেন। জয়নালের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোস্তফা ফারুককে গ্রেফতার করা হয়।

জয়নাল-শাহানুর ও মোস্তফাসহ এনআইডি কেলেঙ্কারির মামলায় এ পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এমআই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন