বিজ্ঞাপন

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে ভোট দেয়নি ভারত, বিপক্ষে চীন

September 30, 2019 | 10:31 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের (ইউএনএইচআরসি) অধিবেশনে আয়োজিত ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ বিষয়ে এক ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ওই ভোটাভুটিতে বাংলাদেশ ৩৫ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হলেও সমর্থন লাভে ব্যর্থ হয়েছে প্রতিবেশি দেশগুলোর।

বিজ্ঞাপন

ইউএনএইচআরসির ৪৭ সদস্যের মধ্যে ৩৭ সদস্য বাংলাদেশের পক্ষে দুই সদস্য বিপক্ষে ও আট সদস্য ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে।

এর মধ্যে চীন ও ফিলিপাইন বাংলাদেশের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে এবং ভারত, নেপাল, জাপান, ব্রাজিল, ইউক্রেন, অ্যাঙ্গোলা, ক্যামেরুন ও কঙ্গো ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত, চীন ও জাপান পাশে আছে বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বারবার বলা হলেও ভোটাভুটিতে তাদের পাশে না পাওয়াকে বাংলাদেশের কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।অনেকের মনে প্রশ্ন দেখে দিয়েছে, যে দেশগুলো রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে আছে বলে দাবি করা হচ্ছিল আদৌ কি তারা বাংলাদেশের পক্ষে আছে?

বিজ্ঞাপন

ইসলামি সম্মেলন সংস্থা (ওআইসি) ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে পাকিস্তান জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করে। এই প্রস্তাবে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ‍মুসলিম ও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিষেয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালানো হয়। তাদেরকে নির্বিচারে আটক, নির্যাতন, শ্রম দিতে বাধ্য করা, আর্থ-সামাজিক ক্ষয়ক্ষতি, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা, যৌন হয়রানি, নারী ও শিশুদের ওপর লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা চালানো হচ্ছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যেন তারা দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়।

বাংলাদেশ ও ভারতের নেতারা প্রায়ই বলে থাকে যে, কূটনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে দুদেশের সম্পর্ক। বিভিন্ন বিষয়ে দুদেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক থাকলেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে পাশে পায়নি ভারতকে।

বিজ্ঞাপন

মিয়ানমারের শক্তিশালী মিত্র চীন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সঙ্গে অফিসিয়ালি সম্পৃক্ত। যার কিনা বাংলাদেশের সঙ্গে কৌশলগত অংশিদারত্ব রয়েছে। তারপরও বাংলাদেশ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে যে মিয়ানমারের চেয়ে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়া বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হচ্ছে জাপান। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাপানের সাম্প্রতিক কার্যক্রম ইতিবাচক মনে হলেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাপানের সমর্থন লাভে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।

সারাবাংলা/একেএম/এমআই

Tags: , , , , , , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন